ঋত্বিক প্রধান, দিঘা: করোনা আবহে পর্যটকশূন্য দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুর, তাজপুর। এই পরিস্থিতিতে হোটেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন হোটেল মালিকরা। ব্যবসায় মন্দা ও আর্থিক পরিস্থিতি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও দিতে চলেছেন তাঁরা।
বিধির বাঁধনে ফের কার্যত পর্যটক শূন্য সৈকত শহর। আর এই আবহে এবার হোটেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের ভাবনা কর্তৃপক্ষের। মাত্র এক সপ্তাহ আগেই গিজগিজ করছিল কালো মাথা। মুখে নেই মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব অনেক দূরের ব্যাপার। সমুদ্রে উদ্দাম, বেপরোয়া বিচরণ পর্যটকদের। বিধি উপেক্ষা করাই ছিল যেন দস্তুর। বৃহস্পতিবারের এই ছবির সঙ্গে সেই ছবির মিল খুঁজে পাওয়া দুস্কর। এই ছবি পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুর, তাজপুরের। হোটেল মালিক সংগঠনের অভিযোগ, করোনা আবহে ডবল ডোজ সার্টিফিকেট অথবা আরটিপিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক হওয়ায় পর্যটকরা আসতে চাইছেন না অনেকেই।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার, দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রের হোটেল মালিকরা বৈঠক করেন। তাঁদের দাবি, এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ খরচ ও কর্মীদের বেতন-বাবদ টাকা মেটাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা। ব্যবসায় মন্দা ও আর্থিক অবস্থার কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিতে চলেছেন হোটেল মালিকদের একাংশ। দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুশান্ত পাত্র বলেন, পর্যটক প্রায় নেই বললেই চলে। বিদ্যুতের বিল দিতে পারছি না। স্টাফদের বেতন দিতে পারছি না। তাই বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক পূর্ণেন্দু মাঝি বলেন, সরকারি নিয়ম মেনে ৫০ শতাংশ রাখতে বলেছিলাম, হোটেলে কাগজ দেখে কেউ ১০০, ৮০ শতাংশ পর্যটক রেখেছিলেন, হোটেল বন্ধের পক্ষপাতি নই। ওদের জন্য যদি করোনা ছড়ায় সেটাও দেখতে হবে। আলোচনায় বসতে চাইলে রাজি। পাশাপাশি, হোটেলের রেজিস্টারে কারচুপির ঘটনাও নজরে এসেছে বলে দাবি জেলাশাসকের। আগামী দিনে হোটেল কর্তৃপক্ষ কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই এখন দেখার।