পূর্ব মেদিনীপুর: নন্দীগ্রামে (Nandigram) শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবসে প্রাক্তন সিপিএম নেতা তথা হলদিয়ার সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠকে (Lakshman Seth) নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বাম আমলে নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলন চলাকালে পূর্ব মেদিনীপুরে সিপিএমের অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতা ছিলেন লক্ষ্মণ শেঠ। এবার সেই লক্ষ্মণ শেঠকে নিয়েই প্রাক্তন দল তৃণমূলকে বিঁধলেন গেরুয়া শিবিরের বিধায়ক।
নন্দীগ্রামে শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবসের অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, নন্দীগ্রামের অত্যাচারের নায়ক ছিলেন লক্ষ্ণণ শেঠ। তিনি এখন তৃণমূলের হয়ে কথা বলেন। অপেক্ষায় রয়েছি কবে লক্ষ্ণণ শেঠকে মালা পরিয়ে ওরা বরণ করে নেয়।
তিনি বলেছেন, লক্ষ্মণ শেঠ এসে তৃণমূলের হয়ে গলা ফাটাবেন, এটা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এভাবে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন তিনি।
অন্যদিকে, লক্ষ্ণণ শেঠের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীরই সমঝোতা রয়েছে বলে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবপ্রসাদ মণ্ডলের।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মণ শেঠ বলেছেন, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছি, দলের তরফে এখনও কোনও বার্তা পাইনি। আর এ ব্যাপারে শুভেন্দুর এত মাথাব্যথা কেন? তাঁর কটাক্ষ, শুভেন্দু তো এখন বিজেপির বড় নেতা।
এর আগে নন্দীগ্রামে শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবসে স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভার আগে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে তৃণমূল (TMC) কর্মীদের কটূক্তি। আজ সকালে ভাঙাবেড়ার শহিদ মিনারে শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। সভায় আসার পথে, ভাঙাবেড়া ব্রিজের কাছে তৃণমূলের অনুষ্ঠানস্থল থেকে বিজেপি নেতাকে কটূক্তি করেন কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। শুভেন্দু যখন গাড়িতে করে অনুষ্ঠান স্থলের দিকে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁকে লক্ষ্য করে কটূক্তি করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, তৃণমূল গতবারও নোংরামো করে আমাকে আটকানোর চেষ্টা করে, লাভ হয়নি। এ ব্যাপারে তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।