বর্ধমান: লরির ধাক্কায় গাড়ি চিড়েচ্যাপ্টা হয়ে তিন টুকরো! এক সঙ্গে ৮ জনের মৃত্যু! কয়েক দিনের ব্যবধানে ফের বর্ধমানে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পর এবার পানাগড়-মোড়গ্রাম রাজ্যসড়ক।
রবিবার ভোরে, কয়েকজন তাঁতশিল্পীকে নিয়ে, বীরভূমের পাথরচাপরির মেলা থেকে বর্ধমানের সমুদ্রগড় ফিরছিল গাড়িটি। ভোর চারটে নাগাদ কাঁকসায় ঘটে যায় দুর্ঘটনা! আলু বোঝাই লরির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ! কাঁকসা থানার এসআই শ্যামলপতি রায় বলেন, দ্রুত গতিতে অন্য একটি গাড়িকে ওভারটেক করছিল গাড়িটি। সেইসময় উল্টোদিক থেকে আসা আলু বোঝাই লরি এসে তাকে ধাক্কা মারে।
স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করলেও, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গাড়ির চালক-সহ ছ’জনের। পরে হাসপাতালে মারা যান আরও দু’জন। আহত একজন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিন দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন আইজি ট্রাফিক মনোজ বর্মা। কাঁকসায় আসার আগে তিনি গিয়েছিলেন বর্ধমান শহর লাগোয়া রথতলায়। ক’দিন আগে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ওই জায়গায় গাড়ির উপর উল্টে গিয়েছিল পিচ বোঝাই ট্যাঙ্কার! চাপা পড়ে, ঝলসে মৃত্যু হয় একই পরিবারের ৭ জনের!
একের পর এক দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। আইজি জানান, দুর্ঘটনা প্রবণ রাস্তাগুলিতে ১০০টি ওয়াচ টাওয়ার। সিসিটিভি ও পুলিশ থাকবে। ৭৫-৮০টি ব্ল্যাক স্পট চিহ্নিত। টেন্ডার ডাকা হয়েছে। ইন্ট্রোগেটেড ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু হবে। বিভিন্ন জায়গায় সমীক্ষা করা হচ্ছে, কত গতিতে গাড়ি চলে।
দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়েছে বর্ধমানের পড়শি জেলা বীরভূমেও। রামপুরহাট হাসপাতাল গেটের সামনে, ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে, পাথরবোঝাই লরির ধাক্কায় মারা গিয়েছেন সাইকেল আরোহী।
এদিনই, রানাঘাট থেকে ঠাকুরনগরের হরিচাঁদ-গুরুচাঁদের মেলায় যাওয়ার পথে, নদিয়ার গাংনাপুরে একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ঘটনায় জখম হয়েছেন ৩০ জন।