কলকাতা: কারণে-অকারণে ভাই-বোনের মধ্যে খুনসুটি, ঝগড়া, ঝামেলা এসব লেগেই থাকে! মোবাইল ঘাঁটা থেকে টিভি দেখা। ভাই-বোন সমান টক্কর। এমন এক সম্পর্কের বিবাদ গড়াল আত্মহত্যা পর্যন্ত! স্কুলপড়ুয়া ভাইয়ের সঙ্গে ঝামেলার পর চরম পথ বেছে নিল কলেজ পড়ুয়া দিদি। মর্মান্তিক এই ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের।

পরিবারের দাবি, রবিবার সকালে ভাইয়ের হেড ফোন নিয়ে নিজের মোবাইল ফোনে গান শুনছিল প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রী। সেই সময় ঘরে ঢোকে তরুণীর ভাই। দিদির হাতে হেড ফোন দেখে চিতকার শুরু করে একাদশ শ্রেণির ছাত্র ভাই। দুজনের মধ্যে এ নিয়ে কিছুক্ষণ তর্কবিতর্ক হয়।

এরপর ভাইয়ের ওপর রাগ করে পাশের ঘরে চলে যায় তরুণী। কিছুক্ষণ পর একটি শব্দ শুনতে পান ভাই ও মা। ছুটে যান তরুণীর ঘরে। দেখতে পান, মেয়ে মেঝেয় পড়ে আছে। গলায় মায়ের কাপড়ে দেওয়া ফাঁস!
খবর পেয়ে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তরুণীকে নিয়ে দ্রুত বারুইপুর হাসপাতালে পৌঁছন তাঁরা। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।

মৃত তরুণীর বাবা জানান, হেড ফোন নিয়ে ঝামেলা। টিভি নেই। ঝামেলার জেরে এ ঘটনা।

কিন্তু কীভাবে মেঝেয় এল ফাঁস লাগানো দেহ? পরিবারের দাবি, কাপড়ের ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার সময় ফাঁস ছিঁড়ে নীচে পড়ে যায় তরুণী।
দিদি ও ভাইয়ের বয়সের ব্যবধান বছর দু’য়েক। পিঠোপিঠি বড় হওয়া, খাবার থেকে খেলনা, ছোটবেলা থেকেই সব কিছু একসঙ্গে ভাগ করে নেওয়া। এরকম শৈশব কাটানো মেয়েটা কী করে ভাইয়ের সঙ্গে ঝগড়ার পর আত্মঘাতী হতে পারে, তা বুঝে উঠতে পারছেন না প্রতিবেশীরা।

দিদিকে হারিয়ে আক্ষেপ করছে ভাইও। সে একটা কথাই বলছে, হেডফোনটা কেন যে চাইলাম, না চাইলেই ভাল হত।