মেচেদা:  মেচেদায় আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র। চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ, দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। এমটেক-এর প্রবেশিকা ভাল না হওয়ায় মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা, অনুমান পরিবারের।

প্রত্যাশার চাপের কাছে কি হেরে গেল আরও এক ছাত্র?

কোলাঘাট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে এমটেক-এর জন্য চলছিল প্রস্তুতি। বসেছিলেন তার প্রবেশিকাতেও। পড়াশোনার জন্য পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদায় বাড়ি ভাড়া করে ছিলেন মা ও অন্যান্য আত্মীয়দের সঙ্গে।

পরিবারের দাবি, শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ পুরুলিয়ায় বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন শুভজিত্‍। তারপর ফোন মা-কে ধরিয়ে দিয়ে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার কথা বলে বেরিয়ে যান। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ শুভজিতের মোবাইল ফোন থেকেই মায়ের নম্বরে ফোন করেন এক অচেনা ব্যক্তি। জানান, মেচেদা স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনা ঘটেছে শুভজিতের।

রাতেই মেচেদায় ছুটে যান পরিবারের লোকেরা। সেখান থেকে পাঁশকুড়া জিআরপি। সকালে পুরুলিয়া থেকে ছুটে আসেন বাবা। ছেলের ছিন্নভিন্ন দেহ সনাক্ত করেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, রাতে ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়েছেন শুভজিৎ।

কিন্তু কেন আত্মঘাতী হলেন এই ছাত্র?

আত্মীয়দের দাবি, ভীষণ উচ্চাকাঙ্খী ছিলেন শুভজিৎ। সব সময় চাইতেন কিছু করে দেখাতে।

স্বপ্ন পূরণ হবে না ধরে নিয়েই কি হতাশায় ভুগছিলেন শুভজিত্‍? এমটেক পড়ার সুযোগ না পাওয়া বা বিদেশ যেতে না পারা মানেই কি সব শেষ?তাই কি এই চরম সিদ্ধান্ত?