কলকাতা: ৪৮ ঘণ্টা পরও এভারেস্টে নিখোঁজ ২ অভিযাত্রী। উদ্বেগে গৌতম-পরেশের পরিবার। উদ্ধারে বাধা আবহাওয়া। সহ-অভিযাত্রীর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সুনীতা হাজরা। হাসপাতালে ভর্তি আরেক এভারেস্টজয়ী চেতনা সাউ।
উদ্বেগের আবহেও ধিকিধিকি জ্বলছে আশার আলো। দুই পরিবারেরই আশা, বরফের জগত্‍ থেকে শেষমেশ ফিরে আসবেন তাঁদের প্রিয়জনেরা। বরফ-ঢাকা এভারেস্টের বুকে ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ দুই বঙ্গসন্তান - গৌতম ঘোষ এবং পরেশ নাথ। উদ্বেগে দুই পরিবার।
দু’দিন হয়ে গেল কোনও খোঁজ নেই। খারাপ আবহাওয়ার জেরে ব্যাহত উদ্ধারকাজও। আরেক এভারেস্টজয়ী সত্যরূপ সিদ্ধান্তের অনুমান, সম্ভবত এই নিখোঁজ হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে অক্সিজেনের অভাব।
শৃঙ্গ ছুঁয়েও ফেরা হল না বাঁকুড়ার গোবিন্দনগরের সুভাষ পালের-ও। এভারেস্টের বুকে হারিয়ে গিয়েছে ঘরের ছেলে। ক্যাম্প ফোরের ৩০০ মিটার দূরে পড়ে রয়েছে এভারেস্টজয়ীর দেহ। শুক্রবার আনা হতে পারে কাঠমাণ্ডুতে। দেহ ফেরাতে প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে পরিবার।
সরকারিভাবে জানানো হয়েছে দেহ উদ্ধারের খবর। তবু মন মানছে না বাঁকুড়ার বাসিন্দা পর্বতারোহী সুভাষ পালের আত্মীয়দের। কাঠমাণ্ডু যাওয়ার কথা ভেবেছিলেন তাঁরা। কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় করতেই হিমশিম অবস্থা মধ্যবিত্ত পরিবারের। তাই এখন শুধুই অপেক্ষার প্রহর গোনা। কখন বরফঢাকা এভারেস্ট থেকে সুভাষের দেহ ফিরবে বাঁকুড়ার বাড়িতে।
একদিকে যখন উদ্বেগের প্রতীক্ষা, অন্যদিকে তখন কিছুটা হলেও স্বস্তি সুনীতা হাজরার পরিবারে। হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও, মঙ্গলবার তাঁর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে, সুভাষের মৃত্যুতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত সুনীতা।
এদিকে, ফ্রস্ট বাইট নিয়ে শিলিগুড়ির হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এভারেস্টজয়ী চেতনা সাউ। সুনীতা-চেতনা ফিরলেও, এখনও এভারেস্টেই গৌতম-পরেশ। তাঁদের ফেরাতে কাঠমাণ্ডু গিয়েছে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদল। ঘরের ছেলেদের ঘরে ফেরার প্রতীক্ষায় পরিবার-পরিজন।