রাজা চট্টোপাধ্যায় ও মলয় চক্রবর্তী: লাগাতার বাড়ছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। রাজ্যের একাধিক জেলায় ১০০ ছাড়িয়েছে পেট্রোলের দাম, ৯০-এর ঘরে ডিজেল। দামের প্রভাবে জলপাইগুড়ির পেট্রোল পাম্পগুলিতে ক্রেতার অভাব। বাগডোগরায় ১০০ লেখা কেক কেটে বিক্ষোভে সামিল যুব তৃণমূল কংগ্রেস।


করোনাকালে এমনিতেই সাধারণ মানুষের ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থা। তার ওপর পেট্রোল-ডিজেলের আগুন দাম। বাড়ছে শাক-সবজি থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। শনিবারই রাজ্যের কয়েকটি জেলায় পেট্রোলের দাম একশো পেরিয়ে যায়। ৯০ এর ঘরে ডিজেল। রবিবারও জ্বালানির দামে ফের ছ্যাঁকা। সেঞ্চুরির গণ্ডি পেরিয়ে জলপাইগুড়িতে লিটারপ্রতি পেট্রোলের দাম ১০৩ টাকা ৫১ পয়সা। দার্জিলিঙে  ১ লিটার পেট্রোলের দাম ১০০ টাকা ৫৬ পয়সা। আলিপুরদুয়ারে ১০০ টাকা ৫১ পয়সা। মুর্শিদাবাদে ১০০ টাকা ৩৯ পয়সা। নদিয়ায় দাম ১০০ ছুঁয়েছে।


জ্বালানির এই দামবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে গণপরিবহণে। লোকসানের কারণ দেখিয়ে বেসরকারি বাস চালানো বন্ধ রাখছেন মালিকদের একাংশ। বিক্রি কমেছে তেলের পাম্পে। জলপাইগুড়ির পেট্রোল পাম্পের কর্মী মহম্মদ গুলাব বলেন, এত দাম যে আজ কাস্টমার খুব কম। অনেকে গাড়ি চালানো ছেড়ে দিচ্ছেন। অন্যদিক ভিড় থাকে আজ তো পাম্পে লোকই নেই।


আইএনটিটিইউসি রাজ্য কোর কমিটি সদস্য মিঠু মোহন্ত বলেন, যেভাবে তেলের দাম বাড়ছে তাতে বেসরকারি বাস মালিকদের ক্ষমতা নেই বাস চালানোর। দেশকে বাঁচাতে গেলে এই ভন্ড সাধু ও দানবের অপসারণ দরকার। আমরা আন্দোলনে নামব।


পাশাপাশি, মহার্ঘ তেল প্রভাব ফেলেছে পর্যটনেও। করোনা আবহে বিধি-নিষেধ কিছুটা শিথিল হলেও বাধ সেধেছে তেলের দাম। জলপাইগুড়ির ট্যাক্সি চালক উত্তমকুমার বিশ্বাস বলেন, আড়াই মাস পর ট্যাক্সি নিয়ে বেরিয়েছি। এসে শুনি ১০০ টাকা পেট্রোলের দাম। পর্যটকদের উপর আমাদের নির্ভর করে থাকতে হয়। পেট্রোলের জন্য ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় রেট শুনেই পর্যটকরা আর গাড়ি নিচ্ছে না। কীভাবে সংসার চালাব বুঝতে পারছি না।


বাগডোগরায় ১টি পেট্রোল পাম্পের সামনে ১০০ লেখা কেক কেটে অভিনব প্রতিবাদ দেখায় নকশালবাড়ি ১ নং ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেস। পাম্পে পেট্রোল কিনতে আসা মানুষদের মধ্যে বিতরণ করা হয় কেক। আমজনতার মনে প্রশ্ন , কবে কমবে পেট্রোল-ডিজেলের দাম? কবে দাম কমবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের?