সমীরণ পাল, বনগাঁ: ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক যশোর রোডে দীর্ঘদিনের সমস্যার কারণ কয়েকশো বছরের পুরনো শিশু গাছ। মাঝেমধ্যেই শুকনো শিশুর গাছের ডাল ভেঙে বিপদের সম্মুখীন হয় সাধারণ মানুষ। এবার বনগাঁ শহর এলাকায় বিপজ্জনক শুকনো শিশু গাছের ডাল কাটার আবেদন জানিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছে বনগাঁ পুরসভা।
যশোর রোডের ধারে একের পর এক প্রাচীন গাছ। কয়েকটি একশো বছরের পুরনো। অক্সিজেনের ভাণ্ডার। পথ চলতি মানুষদের ছায়া দেয় এই সবুজের সারি। কিন্তু, সমস্যা অন্য জায়গায়। বহুদিনের পুরনো এই গাছের ডাল-পালাগুলি শুকিয়ে গিয়ে, বিপজ্জনকভাবে ঝুলে পড়েছে। একটু ঝড়-বৃষ্টিতেই তা ভেঙে পড়ে। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক NH-35। জানা গিয়েছে, এই গাছের ডাল ভেঙে, বনগাঁ এলাকায় বাড়ছে দুর্ঘটনা। এই পরিস্থিতিতে, বিপজ্জনকভাবে ঝুলে থাকা গাছের শুকনো ডালগুলি কাটার কাজ শুরু করল বনগাঁ পুরসভা।
বনগাঁ শহর এলাকায় বিপদজনক শুকনো শিশু গাছের ডাল কাটার আবেদন জানিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়ে বনগাঁ পুরসভা। বনগাঁ পুরসভার পুর প্রশাসক গোপাল শেঠ বলেন, "শুকনো ডাল কাটার জন্য আমরা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিলাম। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। তাদের উপস্থিতিতে গাছ চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে। শুকনো ডাল কেটে সৌন্দর্যায়ন করতে হবে। একইসঙ্গে এই ডালের জন্য সাধারণ মানুষ যাতে বিপদের সম্মুখীন না হয় তাও দেখা হবে পুরসভার তরফে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থেই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি।"
পুরসভার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাস্তার দুধারে থাকা এই গাছের ডালই এখন বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, যশোর রোডের উপরে বিভিন্ন জায়গায় ঝুলছে শুকনো ডাল। শুকনো ভেঙে মাঝে মাঝে সম্মুখীন হয় সাধারণ মানুষ। বনগাঁর এক বাসিন্দা বলেন, এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। এই পদ্ধতিতে দুর্ঘটনা কমবে বলে আশাবাদী স্থানীয় বাসিন্দারা।