পূর্ব মেদিনীপুর: দেশজুড়ে চলা কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে সামিল হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আন্দোলনকারী কৃষক নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে দলের সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনকে পাঠিয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেও ফোনে কথা বলেন। সমর্থন জানান। একইসঙ্গে, কেন্দ্রের কৃষি নীতির বিরোধিতা করেন। এমনকী গতকাল অকালি দলের সঙ্গে বৈঠকও হয় তৃণমূলের।


তৃণমূলের এই অবস্থানকে কটাক্ষ করে এবার মুখ খুলল রাজ্য বিজেপি। পূর্ব মেদিনীপুরে একটি জনসভা থেকে কাটমানি নিয়ে মমতাকে বিঁধলেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘আলুর এত দাম কেন, জবাব দিক রাজ্য।’


তাঁর দাবি, ‘প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের কষ্ট জানেন। দালালদের হাত থেকে কৃষকদের বাঁচাতেই আইন করেছে কেন্দ্র। আর সেই দালালদের স্বার্থেই পথে নামছেন মমতা। আসলে কাটমানির টাকা যাচ্ছে কালীঘাটে।


কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে অকালি-তৃণমূল বৈঠক প্রসঙ্গে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের। বলেন, দিদিমণির সঙ্গে যাঁরা গিয়েছেন, তাঁরা ইতিহাস হয়ে গিয়েছেন। অকালি দল নিজেদের কফিনে পেরেক পুঁতছে।


দিলীপের প্রশ্ন, ‘বাংলার মানুষ কেন আয়ুষ্মানের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন? তাঁর আরও অভিযোগ, কাটমানি হারানোর ভয়েই তালিকা পাঠাচ্ছে না রাজ্য। যেখানে আমফান হয়নি সেখানেও ক্ষতিপূরণ বিলি! তৃণমূল নেতাকর্মীদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে।’


এদিন সকালে চা-চর্চায় অংশ নিয়েও মমতার সোমবারের সভাকে কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভায় লোকের ভিড়ে মঞ্চ ভেঙে পড়েছিল। কাল মুখ্যমন্ত্রীর সভায় লোক হবে না। চাইলে আমরা লোক পাঠাতে পারি।


কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের সপক্ষে শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে বিজেপি কিষান মোর্চার মেগা শো করার কথা ছিল দিলীপের। সভাস্থলের কাছে তৃণমূলের পতাকা ছেঁড়ার অভিযোগ ওঠে।


দুপুরে রামনগরে সভা করার কথা ছিল বিজেপি রাজ্য সভাপতির। তার আগে সভাস্থলে কাছেই তৃণমূলের পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ।


এর প্রতিবাদে দিঘা-নন্দকুমার জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মীরা। রামনগর থানা ঘেরাও করা হয়। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ-ঘেরাও ওঠে।


বিজেপির দাবি, দিলীপ ঘোষের সভা ভণ্ডুল করতেই তৃণমূল এই ঘটনা ঘটায়।