আলিপুরদুয়ার: যাঁর জন্য পৃথিবীর আলো দেখা, তাঁর জন্যই জীবনে নেমে এল অন্ধকার। অর্থের লোভে নিজের মেয়েকে বিক্রি করার অভিযোগ উঠল বাবারই বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্য আলিপুরদুয়ারের শামুকতলা থানার পুঁটিমারি গ্রামে। এখনও খোঁজ নেই পুঁটিমারি হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর।
পরিবারের দাবি, গত শুক্রবার ওই ছাত্রীকে স্কুল থেকে নিয়ে আসেন বাবা। কিন্তু বাবা বাড়ি ফিরলেও মেয়ে ফেরেনি।
কোথায় গেল ১৩ বছরের মেয়ে? খোঁজাখুঁজি শুরু করেন মা। সন্দেহ হয় স্বামীকেই। কারণ, আগে কখনও তিনি স্কুল থেকে মেয়েকে নিতে যাননি। স্কুল পরিচালন সমিতির সদস্য জয়প্রকাশ মাহাতো বলেন, কোনদিন বাবা মেয়েকে স্কুলে নিতে আসেনি। ওই দিন আসে। কন্যাশ্রীর টাকাও তোলে বাবা। আশঙ্কা নারী পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত।
পুলিশ জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি কোনও কাজ করতেন না। সারা দিন নেশা করে থাকতেন। নেশার টাকা না পেলে স্ত্রীর ওপর শুরু হত অত্যাচার।
অন্যদিকে, সম্প্রতি গ্রামের একটি বাড়িতে ভিন রাজ্য থেকে এসেছিলেন চার যুবক। তাঁদের একজনের বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজছিলেন ছাত্রীর বাবা। তাহলে কি, টাকার লোভে নিজের মেয়েকেই ওই যুবকের জন্য ভিনরাজ্যে পাচার করে দিয়েছেন তিনি? ছাত্রীর মামার অভিযোগ, চরিত্র ভাল না। মদ-জুয়া চলে। মারধরে করে জোর করে টাকা তোলায়। টাকা না পাওয়ায় এই কাজ করেছে।
রবিবার শামুকতলা থানায় স্বামী ও ভিনরাজ্যের চার যুবক সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রীর মা। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ছাত্রীর বাবা ও ভিন রাজ্যের ২ যুবক সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিরা পলাতক। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাবা।
ধৃতদের ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীকে উদ্ধারের সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে।