গ্রেফতার হওয়া জুহিকে আজই আদালত সিআইডি হেফাজতে পাঠিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে ঘোর অস্বস্তির মুখে অবশেষে জুহিকে মহিলা শাখার পদ থেকে সরাল বিজেপি।
বিরোধীদের কটাক্ষ, মুখরক্ষায় এই পথ না নিয়ে আর কোনও উপায় ছিল না বিজেপির। আর গোটা ঘটনায় তারা যে চরম অস্বস্তিতে, তার প্রমাণও মিলছে ধাপে ধাপে। জুহি ধরা পড়ার আগে পর্যন্ত বিজেপি নেতারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ করছিলেন! রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এহেন দিলীপ ঘোষ বুধবার প্রথমে বলেন, আজকে তাঁর নাম হঠাৎ জড়ানো হয়েছে। সেজন্য আমরা সময় নিয়েছি। তার মানে এই নয় তাঁকে আমরা নির্দোষ বলছি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আবার মত পাল্টে ফেলে তিনি বলেন, আমরা তাঁকে দোষী বলে এখনই মনে করছি না। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার জুহি ও তাঁর বাবাকে পদ থেকে সরিয়ে দেয় বিজেপি! রাহুল সিংহ বলেন, বাবা-মেয়ে দু’জনকেই সরানো হয়েছে।
তবে জুহিকে দলের পদ থেকে সরানো হলেও রাজ্য বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা দলের পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক পর্যবেক্ষক তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের সরকার ও পুলিশ দলের মতো কাজ করে। তাই তাদের তদন্তে সন্দেহ আছে। চাইব কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত করুক। সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসাচ্ছে।
কটাক্ষের সুরে বিরোধীদের প্রশ্ন, বিজেপি কি বুঝে উঠতে পারছে না জুহি নিয়ে কি অবস্থান নেবে? তাই কি একবার অপসারণ, আবার পরক্ষণেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ? রাহুল সিংহই বলেন, জুহির নাম জড়ানোয় আমরা কিছুটা অস্বস্তিতে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
কিছুদিন আগেই দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযুক্তদের প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ তুলে তাঁকে বিস্ফোরক চিঠি পাঠান দলের প্রাক্তন মুখপাত্র কৃশানু মিত্র। জুহির গ্রেফতারির পর দলের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে সরব হয়েছেন তিনি। বলেছেন, নিজের বৃত্তে যে লোকগুলোকে রেখেছেন, তাদের নিয়ে আগেই সচেতন করেছি। ৮-১০দিন ধরে যাকে ডিফেন্ড করলেন, তাকে গ্রেফতার করা হল। কী ক্রেডেনশিয়াল থাকল?
জুহি গ্রেফতার হতেই এত কাণ্ড, সিআইডির জেরার পর কি রাজনীতি আরও ঘোরালো হবে?