কলকাতা ও জলপাইগুড়ি:  ফিল্মি কায়দায় অপারেশন চালিয়ে মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের খড়িবাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বিজেপি নেত্রী জুহি চৌধুরীকে।
বুধবার আদালতে জুহির প্রভাবশালী-যোগকে হাতিয়ার করই সিআইডি হেফাজতের আর্জি জানান সরকারি আইনজীবী। তিনি বলেন,
হোমের আড়ালে শিশুবিক্রির চক্রে জুহি পুরোদমে জড়িয়ে।
প্রভাবশালী যোগ প্রমাণে জুহিকে নিয়ে দিল্লি সহ কয়েকটি শহরে যাবেন গোয়েন্দারা। তাই তাঁকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। সওয়াল জবাব শুনে জুহিকে ১২ দিনের জন্য সিআইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
কীভাবে সিআইডির জালে পড়লেন জুহি?
সিআইডি সূত্রে দাবি, আত্মগোপনের পর থেকে জুহি মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছিলেন। তবে, অন্যান্য ফোন নম্বর থেকে পরিবার ও কলকাতা-দিল্লির কয়েকজন প্রভাবশালীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। ক’দিন আগে সেই ফোন ট্র্যাক করতে গিয়েই সঙ্কেত মেলে রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক জুহি রয়েছেন উত্তরবঙ্গে। ভারত-নেপাল সীমান্ত লাগোয়া খড়িবাড়ি-বাতাসিয়ার কাছে।
দেরি না করে সেখানে পৌঁছে যান সিআইডি-র ইন্সপেক্টর সৌগত ঘোষ ও কাকলি ঘোষ কুণ্ডু। বাড়িটিকে চিহ্নিত করা গেলেও কীভাবে তার ওপর চালানো হবে নজরদারি? ধন্দে পড়েন যান তদন্তকারীরা। সে কাজে বাড়ির সামনের মন্দিরকে হাতিয়ার করেন তাঁরা। সিআইডি সূত্রে দাবি, সাধুর বেশে মন্দির থেকে বাড়ির ওপর নজরদারি চালাতে থাকেন দুই ইন্সপেক্টর।
যে বাড়ির ওপর তাঁরা নজর রাখছিলেন, সেখানকার লোকজন এই মন্দিরে পুজো দিতে আসতেন। দেরি না করে তাঁদের সঙ্গে ভাবও জমিয়ে ফেলেন গোয়েন্দারা। তারপর তাঁদের সঙ্গেই পৌঁছে যান ওই বাড়িতে। তদন্তকারীদের দাবি, সেখানেই গ্রেফতার করা হয় জুহিকে।
যদিও, জুহির দাবি তিনি নির্দোষ। কিন্তু এই প্রেক্ষিতে জুহি চৌধুরীকে রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে বিজেপি। জুহির বাবা রবীন্দ্রনারায়ণ চৌধুরীকেও বিজেপির রাজ্য কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সিআইডি সূত্রে দাবি, চন্দনা ও জুহির অ্যাকাউন্টে লেনদেনের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হবে।