কলকাতা: প্রত্যাশামতোই তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন ৪৬ বছর ধরে কংগ্রেসি রাজনীতি করা মানস ভুঁইয়া। বললেন, আমার মন বিবেক সবই এখন তৃণমূলের।


প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এবং বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি। মান্নানকে ‘বিক্ষুব্ধ রাজনীতির মডেল’ বলে নিশানা করেছেন মানস। অধীর ‘বাম রাজনীতির উচ্ছৃঙ্খল প্রতীক’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। অধীর-মান্নানের কংগ্রেস ‘জগাই-মাধাই’-এর কংগ্রেস বলেও তোপ দেগেছেন মানস।

ক’দিন আগেই সবংয়ে তৃণমূল নেতা খুনের মামলায় নাম জড়ায় সবংয়ের বিধায়কের। আর তারপরই ক্রমাগত বেসুরো গাইতে শুরু করেন মানস ভুঁইয়া। সোমবার সদলবদলে তিনি হাজির হন তৃণমূল ভবনে। কিন্তু যে কংগ্রেসের টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন, সেই পদ থেকে তিনি কী ইস্তফা দিচ্ছেন? কংগ্রেসের দাবি, নৈতিকতা থাকলে মানসের সেটাই করা উচিত।

কিন্তু, মানস কী বলছেন? তিনি বলেছেন, এ ব্যাপারে দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তা মেনে চলবেন।

কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, সবংয়ের তৃণমূল নেতা খুনের মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার জেরেই, শাসক দলের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন মানস! যদিও দলত্যাগের পর মানসের সাফাই, রাজনৈতিক জীবনে তো অনেক মামলার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাঁকে।

একথা বললেও, মানস যেটা বললেন না, সেটা হল, তৃণমূল নেতা খুনের মামলায় তাঁর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল, এমনকি হাইকোর্টে খারিজ হয়েছিল তাঁর আগাম জামিনের আর্জিও!

মানসের সঙ্গেই এদিন তৃণমূলে যোগ দেন, কংগ্রেসের প্রাক্তন পরিষদীয় দলনেতা মহম্মদ সোহরাব। জার্সি বদল করেছেন কণক দেবনাথ, অসিত মজুমদার, খালেক ইবাদুল্লা, মনোজ পাণ্ডে, অজয় ঘোষ-সহ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা।

তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, এরপর প্রদেশ কংগ্রেসের রইল কি? একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, পুরনো সহকর্মী এলেন, আজ স্মরণীয় দিন। উন্নয়নে শরিক হতেই এই দলবদল।

আনুষ্ঠানিক ভাবে দলত্যাগের পর, তৃণমূল ভবন থেকে নবান্নে যান মানস ভুঁইয়া-সহ অন্য দলত্যাগী কংগ্রেস নেতারা। দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।