অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। ২ জন গুরুতর জখম হন। ক্ষতিগ্রস্ত পাশের একটি বাড়িও। ঘটনার পর থেকেই পলাতক বেআইনি বাজি কারখানার মালিক। বিস্ফোরণ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।


বাড়ির সামনের অংশটা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ৷ ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে দেওয়াল ৷ উড়ে গিয়েছে অ্যাসবেস্টসের ছাউনি ৷ দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে রয়েছে জিনিসপত্র ৷


বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা। বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির আনাড় গ্রাম। দেখা যায়, স্থানীয় বাসিন্দা পুলিন জানার বাড়ির সামনে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হন ২ জন। স্থানীয়রাই তাঁদের উদ্ধার করেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বেআইনি বাজি কারখানায় বোমা তৈরি হচ্ছিল। সেই বোমা ফেটেই ২ জন আহত হন। পুলিশের বিরুদ্ধে উদাসীনতারও অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘বোমা, বাজি তৈরি হচ্ছিল ৷ সেই সময়ে বিস্ফোরণ হওয়াতে ২ জন আহত হয়েছেন ৷ এর আগেও বারবার ঘটেছে এমন ঘটনা ৷’’


কেশিয়াড়ির আরেক বাসিন্দার কথায়, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে চলছে ৷ পুলিশ ঘুষ খাচ্ছে ৷ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না ৷’ বিধানসভা ভোটের মুখে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি সনাতন দলুইয়ের কথায়, ‘‘২ কিলোমিটার দূরে আওয়াজ পেয়েছি। বাজি তৈরি হলে তীব্রতা এতটা বেশি হবে। ভোটের আগে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের মদত রয়েছে ৷’’


তৃণমূলের পাল্টা কটাক্ষ, ভোটের জন্য দুর্ঘটনার পিছনেও রাজনীতি খোঁজে গেরুয়া শিবির। কেশিয়াড়ির তৃণমূ ব্লক সভাপতি অশোক রাউত বলেন, ‘‘যে কোনও দুর্ঘটনায় বিজেপি রাজনীতি খোঁজে।কেউ না কেউ দায়ী ৷’’


 


অন্যদিকে, পুলিশ জানিয়েছে,বাজি তৈরির সরঞ্জাম ও মশলা উদ্ধার হয়েছে। বাজি কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বেআইনি বাজি তৈরির অভিযোগে এর আগেও গ্রেফতার হয়েছেন কারখানার মালিক। তারপরও কীভাবে এই কারবার চলছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।