কলকাতা: সিউড়ির তিলপাড়া ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ায় নতুন করে জলবন্দি হয়েছে বীরভূমের মহম্মদবাজার ব্লকের ১৫টি গ্রাম। গ্রামে জল ঢুকে পড়ায় নামানো হয়েছে নৌকা। গতকাল রাতে তিলপাড়া ব্যারেজ থেকে ২২০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়। সেচ দফতর সূত্রে খবর, ম্যাসাঞ্জোর বাঁধ থেকে জল ছাড়ায় ব্যারেজের জলস্তর বেড়ে যায়। এর জেরেই গতকাল জল ছাড়া হয়েছে বলে দাবি করেছে সেচ দফতর। অন্যদিকে, গত দু’দিন ধরে ফের বৃষ্টি হওয়ায় জেলার বিভিন্ন নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে।



আসা যাক উত্তরবঙ্গের কথায়। উত্তর দিনাজপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। রায়গঞ্জ, সুদর্শনপুর সহ জেলার ৯টি ব্লক জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ৩১ ও ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে কোমর সমান জল থাকায় বন্ধ যান চলাচল। ফলে উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলা এবং দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। একাধিক স্কুলে খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির।

মুর্শিদাবাদের নিশিন্দায় ফরাক্কা-ঝাড়খণ্ডগামী রাস্তার উপর দিয়ে বইছে পাহাড়ি নদীর জল। ফলে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়ায় নিশিন্দায় আটকে পড়েছে বহু পণ্যবাহী ট্রাক। নদীর জল ঢুকতে শুরু করায় বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুলগুলি। এছাড়াও জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষিজমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। জলবন্দি মুর্শিদাবাদের ১৫টি গ্রামের বাসিন্দারা।

মালদার কালিয়াচকে গঙ্গা ভাঙনের জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ভাঙনের জেরে কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের শোভাপুর, পারদেওয়াপুর এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়ি নদী গর্ভে চলে গিয়েছে। নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গতকাল সেচ দফতরের আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়াররা ভাঙন কবলিত এলাকা ঘুরে দেখেন।

বৃষ্টি বন্ধ হলেও কোচবিহারে দুর্ভোগ অব্যাহত। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বেশ কিছু বাড়ি ধসে যাওয়ায় বাসিন্দারা ত্রাণ শিবির এবং উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। তবে ৫১৭টি ত্রাণ শিবির খুলেছে জেলা প্রশাসন।



বৃষ্টি বন্ধ হওয়ায় আলিপুরদুয়ার পুর এলাকার সমস্ত ওয়ার্ডের জল নামতে শুরু করেছে। নদীগুলির জলস্তরও বিপদ সীমার নীচে রয়েছে। জল সরে যাওয়ায় ত্রাণ শিবির থেকে ঘরে ফিরছেন বাসিন্দারা। তবে এলাকায় পানীয় জলের অভাব রয়েছে। বাড়ছে জলবাহিত রোগের আশঙ্কা।