হুগলি, বাঁকুড়া: ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকা। গৃহহীন বহু মানুষ। বিচ্ছিন্ন বহু রাস্তা। ত্রাণশিবিরে বাড়ছে ভিড়। বেশ কিছু গ্রাম জলের তলায়।

জলস্তর বেড়েছে বাঁকুড়ার শালী নদীর। নফরডাঙায় দামোদরের এই শাখা নদীর জল বইছে বড়জোড়া ও সোনামুখীর মধ্যে সংযোগকারী রাজ্য সড়কের ওপর দিয়ে। ফলে এই দুই এলাকার মধ্যে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। প্লাবিত আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার গ্রামগুলি।

হুগলিতে দ্বারকেশ্বর নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত আরামবাগের ঘাসোয়া, ডোমল, ঘোষপুর। জলের তলায় কয়েকহাজার গ্রাম। জলবন্দি হাজার হাজার পরিবার।বেশ কিছু বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন স্কুল ও রাস্তার ওপর আশ্রয় নিয়েছেন গ্রামবাসীরা। প্রশাসনের তরফে ত্রাণ না মেলার অভিযোগ দুর্গতদের।

আজ সকালে মাইথন ও পাঞ্চেৎ জলাধার থেকে ৪০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ছে ডিভিসি। পাশাপাশি, দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ৫১ হাজার ৯৬৪ কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। জল ছাড়ার পরিমাণ কমে যাওয়ায় বৃষ্টি না হলে, নতুন করে কোনও এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা কম।