কৌশিক গাঁতাইত, আসানসোল: আসানসোলে ভ্যাকসিন দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তবস্সুম আরা। পুরসভার ভ্যাকসিন ক্যাম্পে আচমকাই এক মহিলাকে দেন ভ্যাকসিন। জানা গিয়েছে, চিকিত্সক নন তবস্সুম। তাঁর নেই কোনওরকম নার্সিং প্রশিক্ষণও। তাও তবস্সুম ভ্যাকসিন দিয়ে দেওয়ায় শুরু বিতর্ক হয়েছে। কেন প্রশিক্ষণ না থাকা সত্ত্বেও তিনি ভ্যাকসিন দিলেন? প্রশ্নের জবাবে তবস্সুম আরা ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। এভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া অনুচিত, মন্তব্য বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের। এদিকে সিএমওএইচের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
সূত্রের খবর, পুরসভার পক্ষ থেকে টিকাকরণ কেন্দ্রে আয়োজন করা হয়। সেই ক্যাম্পে গিয়েছিলেন আসানসোলের প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র তবস্সুম আরা। ওই কেন্দ্রে হঠাৎই স্বাস্থ্যকর্মীর থেকে সিরিঞ্জ নিয়ে নেন তিনি। স্বাস্থ্য কর্মীদের সামনেই সিরিঞ্জ নিয়ে টিকা দিলেন তবস্সুম আরা। আর এই ছবি সামনে আসার পরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর সাফাই দেন, "ভ্যাকসিন দিইনি, শুধু হাতে সিরিঞ্জ নিয়েছিলাম। তাঁর দাবি মানুষকে উৎসাহিত করার জন্যই হাতে সিরিঞ্জ নিই।" এই ঘটনা সামনে আসার পরই কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের বক্তব্য, মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। তিনি বলেন, "স্বাস্থ্য কর্মী নন, তাও টিকা দিয়ে মানুষের জীবনের সঙ্গে ছিনিমিনি খেলা। চিকিৎসক-নার্সদের উপস্থিতিতেই ভ্যাকসিন দিলেন প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র।" "কোনও কী অনুমোদন ছিল?" প্রশ্ন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের।
আসানসোল পুরসভার প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “ও নিজের দায়িত্বে দিয়েছে, দেওয়া উচিত নয়, অন্যায়ের বিরুদ্ধে তো আমাদের প্রশাসন।” পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক বিভু গোয়েলের অবশ্য বলেন, “আমি এবিষয়ে কিছু জানি না, খোঁজ নিয়ে দেখব।“ বিতর্কের আবহে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, “প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র ভ্যাকসিন দিলে, সেটা প্রশাসন দেখবে। হাতুড়ে ডাক্তাররাও এখন চিকিৎসা ব্যবস্থায় সামিল হয়েছেন। কেউ আসল টিকা দিলে, তাতে অসুবিধের কিছু নেই। দেওয়ার আগে ধ্যান ধারণা থাকা উচিত, নাহলে এটা বিপজ্জনক হতে পারে।“