কলকাতা: কোনও রকম নথি ছাড়াই তাঁর স্বামীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে সিআইডি। সূত্রের খবর, বাড়িতে তল্লাশির ঘটনায় এমনটাই জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। বর্তমানে রাজ্যের বাইরে রয়েছেন তিনি। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর স্বামীর বাড়িতে আচমকাই তল্লাশি চালানো হয়েছে। তল্লাশির জন্য প্রয়োজনীয় কোনও নথি হাতে দেওয়া হয়নি। সূত্রের খবর, ভারতী ঘোষের দাবি, কী কারণে তল্লাশি তাও জানানো হয়নি। ওই সময় তাঁর স্বামীকে একটি ঘরে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। ফোনে তাঁকে আইনজীবীর সঙ্গে কথাও বলতে দেওয়া হয়নি বলেও দাবি করেছেন প্রাক্তন পুলিশ সুপার। ঘনিষ্ঠ মহলে ভারতী ঘোষ এও বলেছেন, যে তিনি সম্মান এবং সম্ভ্রমের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনে কাজ করেছেন। এক সময় রাষ্ট্রপুঞ্জেও কাজ করেছেন । পদত্যাগের আগে তাঁর নাম শৌর্য সম্মান এবং রাষ্ট্রপতি পদকের জন্য উর্ধ্বতন পুলিশ কর্তারা সুপারিশ করেছিলেন বলে দাবি করেছেন তিনি। রাজ্যে ফিরে আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানিয়েছেন ভারতী ঘোষ।
অন্যদিকে, পুলিশের একাংশের প্রত্যক্ষ মদতেই পশ্চিম মেদিনীপুর জুড়ে বেআইনিভাবে টাকা ও সোনা হাতানোর বড় সড় চক্র তৈরি হয়েছিল। পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষের আত্মীয়ের বাড়ি-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশির পর এমনটাই অনুমান সিআইডির। বৃহস্পতিবার রাত থেকে কলকাতা, দুই মেদিনীপুর এবং বীরভূমে সিআইডি আধিকারিকরা তল্লাশি চালান। নগদ ৬০ লক্ষ টাকা এবং ২ কেজি সোনার পাশাপাশি প্রচুর জমি ও সম্পত্তি সংক্রান্ত নথি উদ্ধার করেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই বিমল ঘড়ুই নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছেন জেলার ৪ ওসি।