পূর্ব বর্ধমান: স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক এবং জেলা পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল পূর্ব বর্ধমানের কালনা।
মঙ্গলবার রাতের কথা ভেবে শিউরে উঠছেন কালনার স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। আতঙ্কে স্কুলে যেতে পারছেন না। প্রধান শিক্ষিকার দাবি, বাড়িতে থেকে বুধবার ডাকযোগে পুলিস সুপার ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কাছে, প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় ও জেলা পরিষদ সদস্য বিপুল দাসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছেন। বলেন, মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। তাঁর দাবি, বিপুল দরজা বন্ধ করতে গিয়েছিল, কোনও মতে তিনি পালিয়ে আসেন। আতঙ্কিত প্রধান শিক্ষিকা বলেন, না হলে ধর্ষিতা হয়ে যেতাম। ওরা খুন করতে এসেছিল।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়াই তৎকালীন তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় সহ কয়েকজন তৃণমূল নেতা স্কুলের ম্যানেজিং কমিটিতে ঢুকেছেন বলে, ২০১৫ সালে শিক্ষামন্ত্রীকে অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষিকা। পরের বছর তাঁরা কমিটি থেকে বাদ হয়ে যান। পাশাপাশি, তাড়াতাড়ি স্কুল ছুটি দিয়ে বাড়ি চলে যাওয়ার অভিযোগ করেন শিক্ষিকাদের নামে।
প্রধান শিক্ষিকার অভিযোগ, সেই রাগে মঙ্গলবার তাঁকে স্কুলে রাত পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখেন শিক্ষিকারা। দলবল নিয়ে স্কুলে আসেন পূর্বস্থলী উত্তরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় ও জেলা পরিষদ সদস্য বিপুল দাস। অভিযোগ, মোবাইল ফোন ছুড়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় প্রধান শিক্ষিকার।
যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তরা। বিপুল দাস বলেন, মিথ্যা অভিযোগ, আমি বাঁচাতে গিয়েছিলাম, তপন ছিল না। তাঁর দাবি, নিজের মাথা নিজে ফাটিয়েছেন শিক্ষিকা। মঙ্গলবার রাতেই প্রধান শিক্ষিকার অফিস ঘর সিল করে দিয়েছে পুলিশ। এই অবস্থায় কোনওমতে চলছে স্কুল।