চঞ্চল মজুমদার, গঙ্গারামপুর: দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে ব্যবসায়ীর মৃত্যু ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য। আজ সকালে বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে দত্তপাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার হয় ওই ব্যক্তির ক্ষতবিক্ষত দেহ। খুনের অভিযোগ তুলেছে মৃত ব্যবসায়ীর পরিবার। পরিবারের দাবি, গতকাল রাতে বাইক নিয়ে বের হন ওই ব্যবসায়ী। রাতে বাড়ি ফেরেননি। আজ সকালে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। কিছুটা দূরে পড়েছিল বাইক। ব্যবসায়িক শত্রুতা নাকি ব্যক্তিগত আক্রোশ? কী কারণে খুন খতিয়ে দেখছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। 


স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ সকালে ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পেশায় ব্যবসায়ী ওই যুবকের নাম মানিক সাহা। বাড়ি গঙ্গারামপুর পৌরসভার ভাদাং পাড়া এলাকায়। আজ সকালে এলাকার বাসিন্দারা মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। এরপর গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। পরিবারের দাবি তাঁকে খুন করে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


গত ১৭ জুলাই ফের মালদার রতুয়ায় গুলিবিদ্ধ হন ব্যবসায়ী। মোটরবাইকে বাড়ি ফেরার পথে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলিবিদ্ধ পেশায় ট্রাক্টর ব্যবসায়ী লাল মোহাম্মদ। বয়স ৩৭ বছর। বাড়ি রতুয়া থানার কাহালার আশুটোলা এলাকায়। চিকিৎসার জন্য তাঁকে আনা হয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। জানা গেছে, ওই দিন সন্ধেয় জগন্নাথপুর এলাকা থেকে কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন লাল মোহাম্মদ। সেই সময় হঠাৎই কাহালা এলাকায় কে বা কারা পেছন থেকে এসে গুলি চালায়। তাঁর ডান পায়ে গুলি লাগে। গুলির শব্দে আশেপাশের লোকজন ছুটে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই হামলা বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। তবে, ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কোনও টাকা ছিনতাই করতে পারেনি দুষ্কৃতীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় রতুয়া থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রতুয়া থানার পুলিশ।