এটা দার্জিলিংয়ের জেলাশাসকের অফিস। এখানেই রয়েছে আরও প্রায় ২০টি সরকারি দফতর। অন্যদিনের চেয়ে আজ আগেই অফিসে পৌঁছতে শুরু করেন সরকারি কর্মীরা।
পুরনো অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এদিন সরকারি কর্মীদের অফিস আসার রাস্তাগুলিতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল পুলিশ! যাতে মোর্চা পিকেটিং করে আটকাতে না পারে! এছাড়া দফায় দফায় ঘুরে যায় সেনার গাড়ি।
সকাল সোয়া আটটা নাগাদ দফতরে চলে আসেন জেলাশাসক জয়শী দাশগুপ্ত।
এরপরও দফায় দফায় জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করে যান পুলিশকর্তারা। কখনও পাহাড়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার জাভেদ শামিম ও সিদ্ধিনাথ গুপ্ত বৈঠকে বসেন। কখনও আবার এডিজি উত্তরবঙ্গ নটরাজন রমেশ বাবু।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের দাবি, রাস্তায় রাস্তায় এই পুলিশি তৎপরতার জন্যই তাঁরা নির্ভয়ে অফিসে আসতে পেরেছেন।
তবে অফিসে এলেও অনেকে মন থেকে ভয় পুরোপুরি মুছে ফেলতে পারেননি।
কারও কারও ভয় এতটাই যে অফিসে এসে ক্যামেরার সামনে মুখ পর্যন্ত দেখাতে চাননি। যদি, পরে মোর্চার আক্রোশের শিকার হতে হয়!
কেউ কেউ আবার ক্যামেরা দেখেই উল্টোদিকে ঘুরে গেলেন। রাস্তা দিয়ে আসার পথেও কয়েকজনকে দেখা গেল মুখ ঢাকা অবস্থায়।