দার্জিলিঙ: রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা নয়! জিটিএ-তে আর থাকা নয়! জোড়া কৌশলে রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করল মোর্চা। সূত্রের খবর, মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, শুক্রবারই তাদের ৪৫ জন সদস্যকে জিটিএ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। চিফ এগজিকিউটিভ সহ সমস্ত পদত্যাগপত্র শনিবার জিটিএ-র প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির কাছে জমা দেওয়া হবে। যদিও, রাজ্য সরকার এসবে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ।


তবে শুধু জিটিএ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্তই নয়, পাহাড়ের বিভিন্ন সরকারি পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করাও শুরু শুরু গিয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কিট ডেভলপমেন্ট কালচারাল বোর্ড, গুরুঙ্গ ডেভলপমেন্ট বোর্ডের মতো সংস্থা থেকে ইতিমধ্যেই কয়েকজন পদত্যাগ করেছেন। তাঁদের দাবি, মোর্চার আন্দোলনের সমর্থনেই এই সিদ্ধান্ত। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে রাজ্যের ডাকা সর্বদল বৈঠকে অংশ না নিয়ে মোর্চা আরও সাফ জানিয়েছে, নবান্নের সঙ্গে কোনও আলোচনা নয়।

রাজ্য যখন জিটিএ-কে দেওয়া অর্থের অডিট করছে, তখন পাল্টা ভাবমূর্তি কালিমালিপ্ত করার চেষ্টার অভিযোগে আন্দোলনে নেমেছে মোর্চার শ্রমিক সংগঠন জুসলো। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, সরকার যখন আলোচনায় বসার ডাক দিচ্ছে, তখন মোর্চার এই পদক্ষেপে বার্তা স্পষ্ট, সংঘাত চলবেই। পাল্টা রাজ্যও অনড় যে কোনও মূল্যে পাহাড়ে শান্তি ফেরানো হবে।