সমীরণ পাল, গোবরডাঙা: ৮০ বছরের ঊর্ধ্বদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিনেশন এবার উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙাতেও। ইতিমধ্যেই ৩০০ জনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। প্রতিদিন ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ জনকে। এমনটাই জানিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ।


কখনও ভ্যাকসিন অন হুইল। কখনও আবার সুপার স্প্রেডারদের জন্য গণহারে টিকাকরণ। করোনা সংক্রমণের জেরে মৃত্যু হার কমাতে ভ্যাকসিনেশনের গতি বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। 


সেই আবহে এবার  ৮০ ঊর্ধ্বদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার কর্মসূচি শুরু করল উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙা পুরসভা। বুধবার এই পুর এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর অতুলচন্দ্র দাস ও অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী রবীন্দ্রনাথ রায়কে ভ্যাকসিন দেওয়ার মাধ্যমে এই কর্মসূচির সূচনা করা হয়। 


গোবরডাঙ্গা পুরসভা সূত্রে খবর, ৮০ ঊর্ধ্বদের পক্ষে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিনেশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। মোট ৩০০ জন বয়স্ক নাগরিকের তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। প্রতিদিন ৭০-৮০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। 


২১ জুন থেকে ১৮ ঊর্ধ্ব সবাইকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। পাশাপাশি রাজ্যগুলিকে আর ভ্যাকসিন কিনতে হবে না বলেও ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। 


অন্যদিকে এদিন মেগা সেন্টারগুলিতে টিকাকরণ বন্ধ রেখেছে কলকাতা পুরসভা। রাজ্য ভ্যাকসিন না কেনায় সঙ্কট তৈরি হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই অবস্থায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভ্যাকসিনেশনের মতো কর্মসূচি চালিয়ে যেতে পুরসভাগুলির হাতে থাকবে থাকবে তো পর্যাপ্ত টিকা? উঠছে প্রশ্ন। 


উল্লেখ্য, কলকাতাতে চালু হয়েছে ভ্যাকসিন অন রোড। আমরি হাসপাতাল ও কলকাতা পুলিশের উদ্যোগে এই কর্মসূচিতে গাড়ি নিয়ে এলেই মিলবে ভ্যাকসিন। আজ থেকে ময়দানে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সামনে শুরু হয়েছে ভ্যাকসিন অন রোড। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র ও আমরি হাসপাতালের সিইও রূপক বড়ুয়া। এরপর কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় এভাবেই চলবে টিকাদান। তবে ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত জোগান নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।