মুন্না আগারওয়াল, হিলি (দক্ষিণ দিনাজপুর): দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলিতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন। মৃতের নাম প্রদীপ কর্মকার। পরিবার সূত্রে দাবি, গতকাল রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ দোকান বন্ধ করে স্ত্রীকে নিয়ে বাইকে চড়ে ফিরছিলেন বছর ৫৫-র ওই ব্যবসায়ী। অভিযোগ, রাস্তায় চড়াও হয় তিন বাইক আরোহী দুষ্কৃতী। ব্যাগ ছিনতাইয়ে বাধা পেয়ে তারা ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ব্যবসায়ীকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে, তাঁর মৃত্যু হয়। দুষ্কৃতীরা এখনও অধরা। লুঠ নাকি অন্য কোনও কারণে খুন, খতিয়ে দেখছে হিলি থানার পুলিশ।


পরিবারের সুত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ফিরছিলেন ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী। সঙ্গে ছিল সোনার ব্যাগ। হঠাৎই তিন বাইক আরোহী চড়াও হয়। রাতের অন্ধকারে সোনার ব্যাগ ছিনতাই করা চেষ্টা করে। সেই সময় তাদের ছিনতাইয়ে বাধা দিতে ওই সোনার ব্যবসায়ীকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। এরপর গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। স্বর্ণ ব্যবসায়ীর স্ত্রী চিৎকার শুরু করলে দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এরপর চিৎকার শুনে ছুটে আসে এলাকায় কিছু মানুষ। এরপর ওই সোনার ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে নিয়ে প্রথমে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান আত্মীয়রা। এরপর সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পথেই মৃত্যু হয় ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীর।


মৃত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর স্ত্রী মুক্তি কর্মকার বলেন, একটা বাইক আমাদের ফলো করছিল। হঠাৎ সামনে এসে দাঁড়ায়। স্বামীর ব্যাগ ধরে টান দেয়। বাধা দেওয়ায় ব্যাগটা রাস্তার ধারে পড়ে যায়। আমিও চিৎকার করে উঠি। ওই সময় গুলি করে পালায়। ওই এলাকার এক ব্যবসায়ী, তাপস ঘোষ, আতঙ্কে আছি। এই ধরনের ঘটনা আগে ঘটেনি। এখান থেকে বর্ডার খুব কাছে। দুষ্কৃতীরা বাংলাদেশি হতে পারে। আবার এখানকারও হতে পারে। ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে হিলি থানার পুলিশ। জেলার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, পলাতক দুষ্কৃতীদের খোঁজ করা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ।