পূর্ণন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: এক ঝলক দেখলে কোনও ছোটো পুকুর বা নদী মনে হতেই পারে। কিন্তু আদতে না নয়, বাঁকড়া-দুর্গাপুর রাজ্য সড়কের হেভির মোড় থেকে বেলিয়াতোড় হয়ে ফুলবেড়িয়া মোড় পর্যন্ত রাস্তার ছবিটা ভয়ঙ্কর। অসংখ্য ছোটো, বড় গর্ত আর খানাখন্দে ভর্তি। আর ঐ সব গর্তে জমে রয়েছে বর্ষাক জল। ফলে অনেক আরোহীকেই বহ কষ্টে ওই রাস্তায় বাইক বা স্কুটি ঠেলে পেরোতে হচ্ছে। খড়্গপুর, বাঁকুড়া, বা বাঁকুড়া, দুর্গাপুর, পানাগড় যাতায়াতের অতি গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার যা অবস্থা তাতে যে কোনও সময় দূর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সকলেই।


এ প্রসঙ্গে এক মোটর বাইক আরোহী বলেন, ' জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়ত করতে হয়।' বেহাল আর বিপদশঙ্কুল রাস্তার কারণে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে বলে তিনি জানান। স্বপন নায়ক নামে আরও এক যাত্রী বলছেন, প্রাণ হাতে নিয়ে রোজ যাওয়া আসা করি। রাস্তার যা অবস্থা যে কোনও সময় পড়ে গিয়ে হাত পা ভেঙ্গে যেতে পারে বলেই ভয় পাচ্ছেন তিনি।


এ দিকে বেহাল রাস্তা নিয়ে ফের কাটমানি প্রসঙ্গ তুলে শাসক দলকে খোঁচা দিয়েছে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে গেরুয়া শিবিরের রাঢ় বঙ্গ জোন কমিটির কনভেনর পার্থ কুণ্ডু বলেন, 'এক শ্রেণির ঠিকাদার ও প্রশাসনের জন্য নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ওই রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের উদাসীনতার কারণেই ঐ রাস্তা 'মরণ ফাঁদে' পরিনত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। 


বাঁকুড়া জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, পূর্ত দপ্তরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় কাজ চলছে। তবে বর্ষার কারণে রাস্তা সারাই-এর কাজ ধীর গতিতে হচ্ছে বলে তিনি জানান।


অন্যদিকে ছবিটা খানিকটা একই উত্তর ২৪ পরগনার খড়দার পাতুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার খড় বাগানের। সেখানে বৃষ্টি কমলেও নামছে না জল। ফলে প্রবল ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষকে। দীর্ঘদিন ধরেই এই সমস্যা চলছে বলে অভিযোগ। এলাকার বাসিন্দারা বলছেন এক-দুদিন যদি প্রবল বৃষ্টি যদি হয়, তবে পরের বেশ কিছুদিন পর্যন্ত এলাকা প্রায় হাঁটু জলে ডুবে থাকে। এলাকার মানুষদের অভিযোগ গত প্রায় ৪ বছর ধরে একই সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।