উল্লেখ্য, বাজেট অধিবেশনের শুরুর আগে রাজ্যপালের বক্তব্য ঘিরে নবান্ন ও রাজভবনের সংঘাতের আশঙ্কা দানা বেঁধেছিল।
বাজেট অধিবেশনে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের দেওয়া লিখিত ভাষণই সাধারণত পাঠ করেন রাজ্যপালেরা। এত দিন ধরে চলে আসা সেই প্রথায় তিনি পরিবর্তন ঘটাবেন বলে জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তিনি বলেছিলেন, রাজ্যপালের ভাষণের মাধ্যমে সরকার নিজের নীতি নিয়ে কথা বলতেই পারে। কিন্তু তার উপর ‘টিপ্পনী’ দেওয়ার অধিকার রয়েছে তাঁর। প্রয়োজনে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে নিজের মতামত এবং পর্যবেক্ষণ জানাবেন তিনি। তাঁর এই ঘোষণা নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সঙ্গে সঙ্ঘাতের পথে যেতে চলেছেন রাজ্যপাল?
কিন্তু শেষপর্যন্ত অবশ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতের রাস্তায় হাঁটেননি রাজ্যপাল। রাজ্য সরকারের দেওয়া লিখিত ভাষণই হুবহু পাঠ করে শোনান তিনি। তবে এ বার রাজ্যপালের ভাষণের সময়ে অধিবেশনে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল ক্যামেরার।
ভাষণ দেওয়ার পর বিধানসভা চত্বরে সৌজন্য ও সৌহার্দ্যের আবহে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হাসিমুখে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
এদিন অর্থমন্ত্রীর বাজেট ভাষণের পর টেলিভিশন সম্প্রচার নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যপাল। তাঁর ট্যুইট, ‘রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রর ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করা হল। কিন্তু ১৭৬ ধারায় রাজ্যপালের ভাষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্প্রচার হল না,সংবাদ মাধ্যমকেও দূরে রাখা হল।রাজ্যের মানুষের উপরেই বিচারের ভার দিলাম’।