কলকাতা: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে হাজির থাকবেন না এমন ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইট করে দাবি করলেন রাজ্যপালে। 


এদিন জগদীপ ধনকড় লেখেন, ঘটনার ভুল বর্ণনা দেওয়া হচ্ছে। আমি জানাতে চাই, ২৭ মে রাত ১১টা ১৬ মিনিটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে একটি মেসেজ করেন। তিনি লেখেন, ‘আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারি? খুব জরুরি’। তারপরই উনি আমায় ফোন করে ইঙ্গিত দেন, শুভেন্দু অধিকারী থাকলে তিনি ও তাঁর সরকারি প্রতিনিধিরা প্রধানমন্ত্রীর পর্যালোচনা বৈঠক বয়কট করবেন। এটা অহং বোধের কাছে নাগরিক পরিষেবার পরাজয়। 


এরপর সদ্য প্রাক্তন মুখ্যসচিবের উদ্দেশে রাজ্যপাল লেখেন, দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর দীর্ঘ ইতিহাসে, ২৮ মে ‘একটি কালো দিন’ হিসেবে থেকে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর পর্যালোচনা বৈঠকে যোগ না দিয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে।


প্রধানমন্ত্রীর ইয়াস রিভিউ মিটিংয়ে মুখ্যমন্ত্রীর না থাকা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। একদিকে, বিজেপি যখন মুখ্যমন্ত্রীকে ক্রমাগত আক্রমণ করছেন, তখন পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। 


মমতা বলেন, আগে বলা হয়, শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক হবে, পরে দেখা গেল রাজ্যপাল, বিরোধী দলনেতা সবাই আছেন, দেখা গেল বিজেপির সবাই রয়েছে, আমি একা।


পাল্টা যুক্তি খাড়া করেছে বিজেপিও। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন,  উনি আমার কাছে হেরেছেন, এটা মেনে নিতে পারছেন না।  রাজ্যপাল, রাজ্য থেকে নির্বাচিত ২ মন্ত্রী, আর আমার কিছু বক্তব্য ছিল বলে, বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমাকে আসতে বলা হয়। অধীরকেও ডাকা হয়েছিল।


পাল্টা রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, বিধানসভা বাদে, বিরোধী দলের নেতার ভূমিকা কী আছে? প্রধানমন্ত্রী তো রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। 


বিরোধী দলনেতাকে ডাকা নিয়ে গুজরাতের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি-সহ অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে রিভিউ মিটিং করেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু, সেখানে কংগ্রেসের তরফে গুজরাত বিধানসভার বিরোধী দলনেতা পরেশ ধনানিকে ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ। 


মমতার প্রশ্ন, এখানে প্রশাসনিক বৈঠকে বিরোধী দলনেতাকে ডাকা হচ্ছে, গুজরাতে টাউটের পর প্রশাসনিক বৈঠকে কেন কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতাকে ডাকা হল না?


শুভেন্দু পাল্টা বলেন, অসত্য তথ্য পরিবেশন করে মুখ্যমন্ত্রী অ্যারোগেন্সি এবং পেটি পলিটিক্স তুলে ধরার চেষ্টা করছেন, শুধু তাই নয় কংগ্রেসের সংসদীয় দলনেতা অধীর চৌধুরীকেও এই মিটিংয়ে থাকার জন্য পিএমও থাকে বলা হয়, তিনি দিল্লিতে থাকায় আসতে পারেননি।


এই প্রেক্ষিতে অধীর বলেন, আমাকে পিএমও থেকে যখন বলেছে, তখন আসা সম্ভব ছিল না।