কলকাতা : ভবানীপুর ছাড়ার পর, খড়দা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হতে চলেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জানানো হল সিদ্ধান্ত। মঙ্গলবারই দুয়ারে ভোজন নামে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে খড়দায় যাচ্ছেন তিনি। এমাসের ২১ তারিখে, ভবানীপুর কেন্দ্রের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন শোভনদেব। উপনির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, ভোটের ফল ঘোষণার আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় খড়দা কেন্দ্রের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিন্হার। তাই এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে।


এবারের বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াই করেছিলেন, ভবানীপুরে গড় আগলানোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন রাসবিহারীর প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিশ্বাসভাজন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। আগের তৃণমূল সরকারের বিদ্যুৎমন্ত্রী প্রত্যাশামতোই ভবানীপুর কেন্দ্রে বিপুল ব্যবধানে জেতেন। তারপর তাঁকে নতুন মন্ত্রীসভায় কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুর কেন্দ্রে বিধায়ক পদে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ইস্তফা দেওয়ার পর অন্য একটি সম্ভাবনাও ঘোরাফেরা করছিল, যে রাজ্যসভার ফাঁকা থাকা দুটো আসনের মধ্যে একটিতে তাঁকে পাঠাতে পারে দল। অবশ্য তেমনটা না করে খড়দা বিধানসভার উপনির্বাচনে দাঁড় করিয়ে দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত সঙ্গীকে মন্ত্রীসভাতেই রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দিয়ে জানিয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই ইস্তফা দিলাম।


 


এদিকে, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় খড়দা বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হওয়ায় জল্পনা থেকে গেল অমিত মিত্রকে ঘিরে। শারীরিক অসুস্থতার কারণেই এবারের বিধানসভা ভোটে খড়দা থেকে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামেননি তিনি। তাঁর পরিবর্তেই ভোটের লড়েছিলেন করোনার প্রয়াত কাজল সিনহা। কিন্তু ভোটে না লড়লেও অমিত মিত্রকেই ফের রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর পদে ফিরিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিয়ম অনুযায়ী, বিধায়ক না হলেও ছয় মাস মন্ত্রী পদে থাকার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। এরমধ্যে অন্য কোনও আসন থেকে জিতে এলেই হবে। এই জায়গাতেই জল্পনা অমিত মিত্রকে ঘিরে। আগামীদিনে সেই ধন্দ কীভাবে এগোয়, নজর থাকবে সেদিকেই।