কলকাতা:  ফের পত্রযুদ্ধে জড়ালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এবার নিশানায় রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।


সম্প্রতি ভার্চুয়াল সম্মেলনে, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে লোকসভার স্পিকারের কাছে নালিশ করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিধানসভার অভ্যন্তরীণ কাজে হস্তক্ষেপের চেষ্টার অভিযোগ তোলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।


বিধানসভার অধ্যক্ষ বলেছিলেন, অধ্যক্ষদের সম্মেলন ছিল। সেখানেই (রাজ্যপালের বিষয়ে) বলেছি। সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ ইস্যুতে আমি এটা নিয়ে নির্দেশ দিই। রাজ্যপাল হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেন। স্পিকারকে সেটাই বলেছি।


এই প্রেক্ষাপটে এবার বিধানসভার স্পিকারকে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল। চিঠিতে তিনি বলেন, রাজ্যপাল হিসেবে আমি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার কাজে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছি বলে লোকসভার স্পিকারের কাছে আপনি যে অভিযোগ করেছেন, তাতে আমি যন্ত্রণার থেকে বেশি দুঃখই পেয়েছি। এর থেকে বেশি দুর্ভাগ্যজনক এবং সত্য থেকে বহু দূরের বিষয়, আর কিছু হতে পারে না।


চিঠিতে ধনকড় বলেন, আমাকে অপমান করা হয়েছে। বিধানসভায় রাজ্যপালের ভাষণ দেখানো হয়নি। এই অবস্থা জরুরি অবস্থার শামিল। যদিও মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য দেখানো হয়েছে।


এর পাশাপাশি, রাজ্যপাল বিধানসভার অধ্যক্ষকে লেখা চিঠিতে আরও লিখেছেন, আপনি সংবাধমাধ্যমে অভিযোগ করেছেন, বিধানসভায় পাস হওয়ার পরও রাজ্যপাল অনেক বিল আটকে রেখেছেন। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হল, এ ধরনের অভিযোগের কোনও বাস্তবতা নেই। কোনও বিল রাজভবন থেকে আটকে রাখা হয়নি।


রাজ্যপালের এই চিঠি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় বলেন, অধ্যক্ষ ভদ্রলোক। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর লোকসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছেন। রাজ্যপাল বাংলা ভাঙার চক্রান্তকারীদের সঙ্গে মিটিং করেন। আমরা রাজভবনের মর্যাদা রাখতে চাই। রাজ্যপাল নিজেই তা চান না।


সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, এগুলো নিয়ে দিল্লি যাওয়া, ইস্যু ডাইভার্ট করা, কাদা ছোড়াছুড়ি করা, এতে কারও সম্মান বাড়ছে না।


অধ্যক্ষকে রাজ্যপালের পত্রাঘাতের মধ্যেই শুক্রবার বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের সূচনা। সেদিনই বিধানসভায় রাজ্যপালের সঙ্গে অধ্যক্ষের দেখা হওয়ার কথা।