কলকাতা: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ফের মুখ্যমন্ত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া চিঠি দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এদিনই রাজ্যপাল দিল্লি যাচ্ছেন। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে তাঁর দেখা করার কথা। তাঁদের বৈঠকে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে খবর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও তাঁর দেখা হতে পারে। দিল্লি যাওযার আগে চিঠিতে রাজ্যপাল লিখেছেন,  ‘রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা, রক্তপাত, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অব্যাহত।  চলছে লাগাতার নারী নির্যাতন, বিরোধীদের সম্পত্তি ধ্বংস।অথচ গোটা ঘটনায় আপনি আশ্চর্যজনক ভাবে নীরব এবং নিষ্ক্রিয়। বারবার দৃষ্টি আকর্ষণের পরেও মন্ত্রিসভায় একদিনও আলোচনা করেননি। দুর্গতদের স্বার্থে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।’


রাজ্যপাল আরও লিখেছেন, ‘এভাবে মানবাধিকার ও মর্যাদা লঙ্ঘন গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জার। আইন অনুযায়ী প্রশাসন ও পুলিশের পদক্ষেপ করা উচিত। কিন্তু তেমন কিছু ঘটছে না। দুর্গতরাই প্রশাসন ও পুলিশকে ভয় পাচ্ছেন’ ।


রাজ্যপাল চিঠিতে লিখেছেন, ‘ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা করা হোক। আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করা হোক।’


এর প্রতিক্রিয়া তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেছেন, রাজ্যপাল আদতে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। রাজভবন বিজেপির পার্টি অফিস হয়ে উঠেছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সাজানো চিত্রনাট্য অনুযায়ী, তিনি এ ধরনের কাজ করে চলেছেন। রাজ্যের প্রয়োজনের সময় রাজ্যপাল সরব হন না। তিনি বিজেপির কথা শুনেই চলেন।


কুণাল ঘোষ আরও বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ গ্রহণের আগে আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব ছিল নির্বাচন কমিশনের হাতে, তখন কিছু ঘটনা ঘটেছিল। তৃণমূল কর্মীরাও আক্রান্ত হয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাশ হাতে নেওয়ার পর ওই ধরনের ঘটনা বন্ধ হয়েছে। কেউ আক্রান্ত হলে তালিকা দিন।


অন্যদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘রাজ্যপালকে হজম করতে পারছে না তৃণমূল।রাজ্যপালকে আটকাতে পারছে না তারা। যাঁদের কন্ঠস্বর বন্ধের চেষ্টা করা হয়েছে, তাঁদের দাবি তুলে ধরছেন রাজ্যপাল ধনকড়।