কলকাতা: গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)-র কাজে কোনও স্বচ্ছতা নেই। নির্বাচন হয়নি। চলছে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি। কলকাতায় ফেরার আগে দার্জিলিঙের রাজভবনে সাংবাদিকদের কাছে মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (ক্যাগ)-তে দিয়ে তদন্তের পক্ষে জোরাল সওয়াল করলেন তিনি। 
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত তুঙ্গে উঠেছে। স্বাধীনতার পর এমন ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা দেশে বিরল বলে রাজ্যপাল মন্তব্য করেছিলেন। রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে পাল্টা রাজ্যপালকে বিজেপির এজেন্ট বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। এবার জিটিএ-র কাজকর্মে অস্বচ্ছতার অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যপাল।
জানা গেছে, দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা ও বিজেপি বিধায়ক নীরজ জিম্বা জিটিএ-তে দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। তাঁরা অভিযোগ করেছিলেন যে, ২০১৭ থেকে জিটিএ-তে কোনও নির্বাচিত প্রতিনিধি নেই। 
উল্লেখ্য, জিটিএ দার্জিলিং  ও কালিম্পংয়ের স্বশাসিত পরিষদ। 
সপ্তাহব্যাপী দার্জিলিংয়ে কাটিয়ে কলকাতায় ফিরে আসার আগে রাজ্যপাল সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, জিটিএ-তে দুর্নীতি ও বেনিয়মের বহু অভিযোগ পেয়েছি। জিটিএ-র পূর্ণাঙ্গ বিশেষ অডিটের বিষয়টি নিশ্চিত করব। জিটিএ-তে কোনও নির্বাচিত প্রতিনিধি নেই, এটা খুবই বিস্ময়কর। উন্নয়নের নিরিখে উত্তরবঙ্গ পিছিয়ে রয়েছে। 
রাজ্যপাল তাঁর ট্যুইটে বলেছেন, বিগত বছরগুলিতে জিটিএ-তে তৃণমূল স্তরে গণতন্ত্রের অভাব নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
এই প্রসঙ্গে তিনি জিটিএ-তে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ক্যাগকে দিয়ে অডিটের পক্ষে সওয়াল করেছেন।
উল্লেখ্য, তৃণমূল এর আগেও ধনকড়ের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং রাজভবনকে বিজেপির পার্টি অফিস বলে কটাক্ষ করেছে। কয়েকদিন আগেই রাজ্যপাল অভিযোগ করেছিলেন যে, ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনা নিয়ে নীরব মুখ্যমন্ত্রী। নির্যাতিতদের পক্ষে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।  দিল্লি যাওয়ার আগে তিনি এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গত ১৫ জুন চিঠিও দিয়েছিলেন। পাল্টা ট্যুইট করে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যপালের অভিযোগ খণ্ডন করা হয়। 
উল্লেখ্য, ২০১২-তে  দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিলের পরিবর্তে জিটিএ গঠিত হয়েছিল।