কলকাতা: আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফের একবার রাজ্যপালের নিশানায় রাজ্য। বুধবার জগদীপ ধনকড় মনে করিয়ে দেন, আইন না মানলে সুশাসন সম্ভব নয়।
রাজ্যপাল বলেন, ‘রাজ্যে নৈরাজ্য চলছে, পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার চলছে। গণতন্ত্রকে আঘাত করার কাজ চলছে। অন্য রাজ্যের পরিস্থিতি এখানকার মতো নয়। রাজ্যে আইনের শাসন মানা হচ্ছে না। আইনে ভাঙলে বরদাস্ত করা হবে না।’
ধনকড় জানান, রাজনীতি থেকে কিছু পাওয়ার নেই তাঁর। বলেন, আমি রাজনীতির লোক নই, রাজনীতি থেকে কিছু পাওয়ারও নেই। আমার ত্রুটি থাকলে বলুন, আমি সংশোধনের জন্য তৈরি।’
একুশের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে তিনি আশ্বাস দেন, ভোট শান্তিপূর্ণ করতে সবরকম চেষ্টা চালাবেন তিনি। বলেন, ‘একুশের ভোট অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে। ভোট নির্বিঘ্নে করতে সবরকম পদক্ষেপ নেব।’
তিনি মনে করিয়ে দেন, আইন না মানলে সুশাসন সম্ভব নয়। বলেন, ‘রাজ্যের আধিকারিকদের রিপোর্টকে ভিত্তিহীন বলছে সরকার। রাজ্যের মন্ত্রী আমার বিরুদ্ধে যে ভাষায় কথা বলছেন, তা আপত্তিকর। আচরণবিধি লঙ্ঘিত হওয়া সঠিক নয়। আধিকারিকরা আমার প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন না, এটা মানা যায় না।’
রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত নতুন নয়। এর আগেও একাধিকবার রাজ্য প্রশাসনকে আক্রমণ করেছেন তিনি। গত সপ্তাহেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯ জন পুলিশকর্তার নামের তালিকা প্রকাশের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ধনকড়। বলেছিলেন, কয়েকজন আমলা সরকারি চাকুরে না হয়ে, রাজনৈতিক কর্মী হচ্ছেন। ২১ জন এমন আমলার নাম তালিকাভুক্ত করেছি। এই গোপন তথ্য মুখ্যমন্ত্রীকে দেব।
দুদিন পর সোমবার ট্যুইট করে রাজ্যপাল বলেন, পছন্দের আইপিএস হলেই অবসরের পর তাঁদের ভাল জায়গা দেওয়া হচ্ছে, যাতে তাঁরা রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা এবং ক্ষমতা ভোগ করতে পারেন। আর যাঁরা অপছন্দের তাঁদের কোণঠাসা করে রাখা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
রাজ্যপালের এই ট্যুইট ঘিরে শুরু হয় তরজা। রাজ্যপালের এই ট্যুইট প্রসঙ্গে তাঁর এক্তিয়ার নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। দলের সাংসদ সৌগত রায় বলেন, উনি ভুলে যাচ্ছেন মোদি পাঁচ বছর তাঁর সেক্রেটারি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে নৃপেন্দ্র মিশ্র বলে একজনকে রিটায়ার্ড অফিসারকে, বাংলায় যে অফিসাররা রয়েছেন তারা ভাল কাজ করছেন যারা অবসরপ্রাপ্ত অফিসার তারাও ভালো কাজ করছেন জগদীপ ধনকর কি বললেন তাতে কিছু এসে যায় না।
এর আগে রাজ্যের একাধিক পুলিশ আধিকারিকের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল। বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার রাজ্য সফরের সময় তাঁর কনভয়ে হামলা হয়। সেই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দেন জগদীপ ধনকড়। ধনকড় বলেন, রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টার কাজটা কি? অবসরের পর কেন তাঁকে সুবিধা দেওয়া? এডিজি আইনশৃঙ্খলা থাকার সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযুক্ত।