কলকাতা: ডেঙ্গি নিয়ে সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে পোস্ট করা ‘অপরাধ’! তার জেরেই সাসপেন্ড সরকারি চিকিৎসক!


ডেঙ্গি হলে বলা যাবে না! ডেঙ্গিতে মৃত্যু হলেও, ডেথ সার্টফিকেটে লেখা যাবে না!

ডেঙ্গি চাপতেই সরকার এমন নিদান দিয়েছে বলে অহরহ অভিযোগ করে চলেছে বিরোধীরা। ডেঙ্গি নিয়ে এই চাপানউতোরের মধ্যেই এবার সোশাল মিডিয়ায় কুত্সার অভিযোগে বারাসাত জেলা হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার অরুণাচল দত্ত চৌধুরীকে সাসপেন্ড করা হল।

সূত্রের খবর ৬ অক্টোবর, ফেসবুকে হসপিটাল জার্নাল নামে একটি লেখা পোস্ট করেন চিকিৎসক অরুণাচল দত্ত চৌধুরী। যাতে লেখা ছিল, ডেঙ্গি আক্রান্তদের চিকিত্সা করতে গিয়ে কী ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই পোস্টের পরই মেডিক্যাল অফিসারকে শোকজ করেন বারাসাত জেলা হাসপাতালের সুপার।

যদিও তারপরও ডেঙ্গি নিয়ে ফেসবুকে একাধিক পোস্ট করেন ওই চিকিত্সক।

অবশেষে সাসপেন্ড করা হয় চিকিত্সককে। সূত্রের দাবি, শোকজের উত্তর সন্তোষজনক না হওয়াতেই না কি এ এই সিদ্ধান্ত! এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব চিকিত্সকদের একাংশ।

অবিলম্বে এই সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবি তুলেছে চিকিত্সক সংগঠনগুলি।

ডেঙ্গি নিয়ে পোস্ট করায় সরকারি চিকিৎসককে সাসপেন্ডের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুলতে চাননি স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী। তাঁর বক্তব্য, এটা বিভাগীয় বিষয়। তাই এনিয়ে বেশি কিছু বলতে পারছি না।

চাপের মুখে পড়ে সাসপেন্ডেড চিকিত্সকের গলায় অবশ্য এখন সমঝোতার সুর।তিনি বলেছেন,ডেঙ্গি নিয়ে সঠিক তথ্য দিচ্ছে সরকার। আমার কিছু বলার নেই।

অনেকে বলছেন, চাকরি বাঁচাতে এছাড়া ওই চিকিৎসকের আর কোনও উপায়ও ছিল না! কয়েকদিন আগে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে ব্যাঙ্গচিত্র আঁকায় কার্টুনিস্ট জি বালাকে গ্রেফতার করে পুলিশ!  ঋণদানকারীর হুমকিতে অতিষ্ঠ হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল একটি পরিবার। কিন্তু, পুলিশ কিছু না করায় শেষপর্যন্ত একটা গোটা পরিবার গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করে। তারই প্রতিবাদে কার্টুন এঁকে গ্রেফতার হতে হয়েছিল কার্টুনিস্টকে। আর এখানে ডেঙ্গিতে একের পর এক মৃত্যুর মধ্যে তা নিয়ে সোশাল সাইটে পোস্ট করায় চিকিৎসককে সাসপেন্ড হতে হল!