শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে র্যাগিং-মুক্ত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সরকার। হাতিয়ার, শাস্তির বিধান দেওয়া পোস্টার।
রাজ্যের কুড়িটি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ছ’শো কলেজ, সরকারি ও বেসরকারি একশোটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে সরকারের তরফে পাঠানো হচ্ছে এই পোস্টার।
পোস্টারে উল্লেখ করা হয়েছে ১১ দফা শাস্তির কথা।
• র্যাগিং-এ অভিযুক্ত হলে বাতিল হতে পারে ভর্তি।
• ক্লাস থেকে সাসপেন্ড করা হতে পারে
• প্রত্যাহার করা হতে পারে বৃত্তি ও অন্য সুযোগ-সুবিধা
• বঞ্চিত করা হতে পারে যেকোনও রকমের পরীক্ষা থেকে
• স্থগিত থাকতে পারে পরীক্ষার ফলপ্রকাশ।
• বাতিল হতে পারে কোনও প্রতিযোগিতায় প্রতিনিধিত্ব
• হস্টেল থেকে নির্বাসিত বা বিতাড়নের সম্ভাবনাও রয়েছে
• প্রথম থেকে চতুর্থ সেমেস্টার পর্যন্ত বহিষ্কার করা হতে পারে
• বা একেবারে প্রতিষ্ঠান থেকে বিতাড়ন
• নাও মিলতে পারে অন্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ
• অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা না গেলে, শাস্তি হতে পারে প্রশয়দাতাদেরও।
সরকারের নির্দেশ, যে সব জায়গায় ছাত্রদের বেশি যাতায়াত, সেখানেই টাঙাতে হবে এই পোস্টার। ইতিমধ্যেই পোস্টার লাগানো হয়েছে প্রেসিডেন্সি ক্যাম্পাসে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, র্যাগিং রোধের আইন ও নির্দেশিকা থাকা সত্ব্বেও কেন এই কর্মসূচি?
শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, পড়ুয়াদের সচেতন করাই সরকারে লক্ষ্য।
ইউজিসির তথ্য অনুযায়ী, নথিভুক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে দেশের মধ্যে র্যাগিং-এ ওপরের দিকে পশ্চিমবঙ্গ। শিক্ষামহলের একাংশের মতে, কার্যত র্যাগিং-এর সেই কলঙ্ক মোচনেরর তাগিদ থেকেই সরকারের এই সচেতনতার পাঠ।