কলকাতা: পঞ্চায়েত মামলায় আজকের মতো শুনানি শেষ।প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে বৃহস্পতিবার ফের শুনানি।১৪ মে পঞ্চায়েত ভোট হওয়া নিয়ে আরও অনিশ্চয়তা।
‘ই-মনোনয়ন পরবর্তী প্রক্রিয়া চললে সোমবার ভোট সম্ভব নয়।আইনি পথে চললে ১৪ মে ভোট সম্ভব নয়, মত বিকাশের।

এর আগে পঞ্চায়েত ভোট-সুরক্ষায় হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করে সরকার।বুথ পিছু একজন সশস্ত্র পুলিশ, লাঠিধারী ।৭১ হাজার ৫০০ পুলিশ দেবে রাজ্য সরকার।
ভোট-নিরাপত্তায় ৮১ হাজার সিভিক ভলান্টিয়ার।এর মধ্যে ভোট-সুরক্ষায় ৬১ হাজার সশস্ত্র পুলিশ।ভোট-সুরক্ষায় ১০ হাজার এসআই, এএসআই।
ভোট-সুরক্ষায় ৫০০ ইন্সপেক্টর র‍্যাঙ্কের অফিসার।ভোট-সুরক্ষায় ৮০ হাজার লাঠিধারী পুলিশ।ভিন রাজ্য থেকে আসছে ২ হাজার পুলিশ।
‘৪৭হাজার ১০০ বুথ, ৭১ হাজার ৫০০ পুলিশ!আপনি কি মনে করছেন, এটা যথেষ্ট? প্রশ্ন বিচারপতির।
‘বুথ পিছু একজন সশস্ত্র, লাঠিধারী আদৌ যথেষ্ট?’ অ্যাডভোকেট জেনারেলকে প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের।
‘ভোটের এই সুরক্ষা ব্যবস্থায় কমিশন কি সন্তুষ্ট?নির্বাচন কমিশন কী কেন্দ্রীয় বাহিনী ডাকতে চাইছে?’নির্বাচন কমিশনের আইনজীবীকে প্রশ্ন হাইকোর্টের।

‘ভোটের সুরক্ষার বিষয়টি কমিশন-রাজ্য সরকারের বিষয়।’ডিভিশন বেঞ্চে সওয়াল অ্যাডভোকেট জেনারেলের।
‘যদি কমিশনই বলে সন্তুষ্ট, তাহলে আদালত কী করতে পারে?’আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকে প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের।

‘নিরাপত্তা বিষয়টি সবার সহমত নিয়েই করা উচিত’,ডিভিশন বেঞ্চে সওয়াল বিকাশরঞ্জনের।
‘পর্যবেক্ষক কারা? রাজ্যের অফিসার না ভিন রাজ্যের?’অ্যাডভোকেট জেনারেলের কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট।
প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যর এজলাসে নিরাপত্তা সংক্রান্ত মূল মামলার শুনানি চলছে। এর আগে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে প্রধান বিচারপতি বলেন, নিরাপত্তা নিয়ে আদালতকে সন্তুষ্ট করতে হবে। ।
এদিকে, আদালতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের দাবি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে মামলা করার অধিকার নেই অধীর চৌধুরীর।

১৪ মে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা।এর আগে  ডিভিশন বেঞ্চে  রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানায়,  ‘১৪ মে ভোটের চূড়ান্ত দিন নয়, এটা একটা প্রস্তাব।মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ভোটের দিন চূড়ান্ত নয়।যতক্ষণ না কোর্ট বলবে, ভোটের দিন চূড়ান্ত নয়।'

এই মামলার শুনানিতে কী সিদ্ধান্ত হয়, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।