কালিম্পং: কালিম্পং থানা লক্ষ্য করে শনিবার রাতে যে গ্রেনেড ছোড়া হয়, তা নন ইলেকট্রিক্যাল ডিটোনেটর দিয়ে বিশেষ কায়দায় তৈরি এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন।
গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, কালিম্পং থানায় হামলার জন্য ব্যবহৃত গ্রেনেডে ছিল নাইট্রোগ্লিসারিন জাতীয় বিস্ফোরক। স্প্লিন্টার হিসেবে ব্যবহার করা হয় লোহার টুকরো ও পাথর। কালিম্পং থানা লক্ষ্য করে ছোড়া হ্যান্ড গ্রেনেড ছিল পাইপ আকৃতির। তার বিস্ফোরণের তীব্রতা পৌঁছোয় ৪০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত।
তদন্তকারীদের অনুমান, সকেট বোমা তৈরির পদ্ধতি অনুকরণে তৈরি এই গ্রেনেড, থানা লক্ষ্য করে ছুঁড়ে পালায় হামলাকারীরা। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হ্যান্ড গ্রেনেড অত্যন্ত মারাত্মক অস্ত্র। যেখানে বিস্ফোরণ ঘটে, তার আট গজের মধ্যে থাকা মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
দার্জিলিংয়ের সুপার মার্কেটে যে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, তাতেও নাইট্রোগ্লিসারিন ব্যবহার করা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, ধাতব কন্টেনার এবং নাইট্রোগ্লিসারিন দিয়ে বিস্ফোরক তৈরি করা হয়। বিস্ফোরণস্থল লাগোয়া এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে ৮ ফুট লম্বা তার ও ব্যাটারির অংশ।
যা দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, মাওবাদীদের কায়দায় দূরে বসে এই আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়! নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, আইইডি এবং গ্রেনেড দু’ধরনের বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্যই প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।
জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় বিমল গুরুং সহ কয়েকজন মোর্চা নেতার বিরুদ্ধে ইউএপিএ, এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা রুজু হয়েছে। উল্টোদিকে মোর্চা আবার এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
মোর্চার যুগ্ম সম্পাদক বিনয় তামাং বিবৃতিতে দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে আবেদন জানানো হয়েছে, উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি তৈরি করা হোক। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির তত্ত্বাবাধানে এনআইএ-কে দিয়ে তদন্ত করে যারা এসব ঘটিয়েছে, তাদের দ্রুত গ্রেফতারির ব্যবস্থা করা হোক।