দার্জিলিং ও কলকাতা:  রাজ্য সরকারকে চ্যালেঞ্জ গুরুংয়ের। পাতলেবাসের যে বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছিল, সেখানে বসেই মোর্চা প্রধান হুঁশিয়ারি ছুঁড়ে দিলেন প্রশাসনের দিকে! গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ বললেন, আমি আন্দোলনকারী। আসুন রেইড করতে। রোজ এখানে বসি। আসুন, আমি রিকোয়েস্ট করছি।
সিংমারিতে শনিবারের এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির পরই গোপন ডেরায় চলে যান গুরুং। সেখান থেকে ভিডিও বার্তা দিয়ে, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মোর্চাকে একজোট করার কাজ চালাচ্ছিলেন তিনি। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও প্রশাসনের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানালেন মোর্চা সভাপতি। বললেন, আমাদের ৩ জন মারা গেল। আমরা গুলি চালিয়েছি? আমাদের দিক থেকে এই কাজ হয়নি। পুলিশের দিক থেকে হয়েছে, পুলিশকে ভুগতে হবে। আমার বাচ্চাদের প্রাণ গেছে। শরীরের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত লড়ব।
শুক্রবার জিটিএ থেকে পদত্যাগ করেছেন মোর্চার ৪৩ জন সদস্য। গুরুংয়ের সরাসরি হুমকি, জিটিএ ভোট করতে দেবে না তারা। বললেন, ইলেকশন হবেই না। আমরা করতেই দেব না। ২৭ তারিখ জিটিএ চুক্তি পোড়াব।
বনধ শিথিল করা হবে? উৎসবের কথা মাথায় রেখে কোনও ছাড় দেওয়া হবে? সংঘাতের মুডে থাকা গুরুং বলছেন, উৎসবের মুডে তাঁরা নেই! বললেন, আর কোনও রিল্যাকসেশন হবে না...আমরা কোনও সেলিব্রেশনের মুডে নেই। আমাদের বাচ্চারা মারা গেছে। মিটিং, মিছিল, আমরণ অনশন সব চলবে।
গুরুংদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের বনধের জেরে পর্যটনের মরসুমে এখনই ধুঁকছে দার্জিলিং। দোকানপাট, ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় ঘোর সমস্যায় পড়েছে পাহাড়বাসীও। শুক্রবার বনধ সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এনিয়েই গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে। তিনি বলেন, আমি সেখানকার রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে চিন্তিত নই। আমার চিন্তা পাহাড়বাসী এবং পর্যটকদের নিয়ে।
এই চিন্তার অবসান কবে হয়, সেটাই এখন দেখার।