বিটন চক্রবর্তী,হলদিয়া: হলদিয়া পুরসভার নতুন পুরপ্রধান হলেন সুধাংশু মণ্ডল। পুরপ্রধান নির্বাচনের আগে তৃণমূল জেলা সভাপতির তরফে দেওয়া হল হুইপ। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ কাউন্সিলরদের একাংশ। এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
২০ দিন পর নতুন পুরপ্রধান পেল শিল্পশহর হলদিয়া। তবে সেখানেও প্রকাশ্যে চলে এল শাসক দলের গোষ্ঠীকোন্দল। শুক্রবার হলদিয়ার নতুন পুরপ্রধান হন সুধাংশু মণ্ডল। তিনি উপপুরপ্রধান পদে ছিলেন। এদিন নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচনের জন্য পুরভবনে বৈঠকে বসেন কাউন্সিলররা। সেখানে তৃণমূলের তরফে তাঁদের জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্রের সই করা হুইপের চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে সুধাংশু মণ্ডলকে পুরপ্রধান নির্বাচিত করার কথা বলা হয়। হুইপের এই চিঠি পাওয়ার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কাউন্সিলরদের একাংশ।
হলদিয়া পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর ভক্তিপ্রসাদ বলিদা বলেন, ‘‘দল আমাদের সবসময় কেন চাপিয়ে দেবে? কেন আমাদের বাক স্বাধীনতা থাকবে না? এটা মেনে নেওয়া খুবই কষ্টদায়ক। আমরা সুধাংশুবাবুকেই মেনে নিতাম। কিন্তু আমাদের সেই স্বাধীনতা কেন দেওয়া হবে না?’’
যদিও দলের এই হুইপের বিষয়টি জানা নেই বলে এড়িয়ে যান নবনির্বাচিত পুরপ্রধান। হলদিয়া পুরসভার পুরপ্রধান সুধাংশু মণ্ডল জানান, ‘‘ দলের সমস্ত কাউন্সিলর একমত হয়েই আমাকে নির্বাচিত করেছে। হুইপের বিষয়ে কিছু জানা নেই।’’
বিষয়টি নিয়ে অবশ্য রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করতে ছাড়েনি পদ্ম শিবির। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও। তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সহ-সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তৃণমূল এতটাই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ভরপুর যে কাকে চেয়ারম্যান করবে ঠিক করতে পারছে না। তাই হুইপ দিয়ে পুরপ্রধান নির্বাচন করতে হচ্ছে। এই দলটা উঠে যাবে ৷’’
তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুরের সহ সভাপতি চিত্ত মাইতির দাবি, ‘‘আমাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। বিজেপিতে এখন আদি-নব্যর লড়াই চলছে। আগে নিজেদের দল সামলাক।’’
২০১৭-র নির্বাচনে হলদিয়া পুরসভার ২৯টি আসনের সবকটিতেই জয়লাভ করে তৃণমূল। ১৫ জানুয়ারি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পুরপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দেন শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শ্যামল আদক। এদিনের বৈঠকে নতুন পুরপ্রধান নির্বাচন করেন ২৫ জন কাউন্সিলর।