সমীরণ পাল, হাড়োয়া (উত্তর ২৪ পরগণা) : হাড়োয়ায় তৃণমূল কর্মী খুনের নেপথ্যে কী ভেড়ির দখল নিয়ে দলের গোষ্ঠীবিবাদ? স্থানীয়দের বক্তব্যে উঠে আসছে এমনই তথ্য। অভিযোগ, তৃণমূল বুথ সভাপতি ভাস্কর দাসের বাড়ি থেকেই গুলি চালানো হয়। সেই গুলিতেই তৃণমূল কর্মী সন্ন্যাসী সর্দারের মৃত্যু হয়। ধাক্কাধাক্কির মধ্যে পড়ে মৃত্যু হয় বৃদ্ধা লক্ষ্মী মণ্ডলের। খুনের অভিযোগে বুথ সভাপতি-সহ ২১ জনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাসপাতালে ভর্তি ৫ জনের মধ্যে ২ জনের শরীরে গুলির ক্ষত রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।


শহিদ দিবসের দিনেই গতকাল প্রকাশ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল হাড়োয়া। চলেছিল গুলি। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ২ জনের। গুরুতর আহত আরও অনেকে। গুরুতর আহত কয়েকজনকে নিয়ে আসা হয়েছিল আরজিকর মেডিক্যাল হাসপাতালে। বাকিদের চিকিৎসা চলছে হাড়োয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। গুলি চলার ঘটনাস্থলেই লক্ষ্মীবালা মণ্ডল (৬২) মৃত্যু হয়। তৃণমূলের একদল সমর্থক গুলিতেই তাঁর মৃত্যুর অভিযোগ তুললেও পুলিশ জানিয়েছে ঘটনাস্থলে পদপিষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। অপর তৃণমূল সমর্থক সন্ন্যাসী সর্দার (২৮) ঘটনাস্থলেই বুকে গুলি লাগে। তাঁকে হাড়োয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রকাশ্যে চলে এলে জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। ইতিমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে যে ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার দুপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের ভার্চুয়াল শহিদ দিবস পালনের অনুষ্ঠান যাতে সমর্থকরা দেখতে পারেন, তার জন্য ব্যবস্থা করেছিলেন তৃণমূল নেতা তাপস রায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শোনার পর যখন ঘাসফুল সমর্থকরা বাড়ি ফিরছিলেন তখনই তাদের ওপর গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। তাপস রায়ের অনুগামীদের অভিযোগ, তৃণমূল নেতা যজ্ঞেশ্বর প্রামাণিকের বাড়ি থেকে বাড়ি ফেরত তাদের সমর্থকদের দিকে ছোড়া হয় প্রায় ১০-১২ রাউন্ড গুলি।