কলকাতা:  বুধবারের পুনরাবৃত্তি বৃহস্পতিবারেও! বিজেপির যুব সংগঠনের মিছিল নিয়ে ফের ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার।

সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার পুলিশের আপত্তি উড়িয়ে শর্তসাপেক্ষে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার ‘প্রতিরোধ সঙ্কল্প অভিযানে অনুমতি দেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে,  এদিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। প্রথম পর্যায়ের শুনানিতে বিচারপতিদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ ছিল,

‍রাজ্য সরকার দাবি করছে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা স্বীকৃত সংগঠন নয়। যদি সেটাই হয়, তাহলে মিছিলের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা আছে।

এরপর দুপুর ২টোয় ফের শুনানি শুরু হয়। রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, গঙ্গাসাগর মেলা চলছে। প্রশাসন ব্যস্ত রয়েছে। সে কারণেই এই মিছিলের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা আছে।

একথা শুনে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। বলেন, গঙ্গাসাগর মেলার কারণ দেখিয়ে যদি আপনারা মিছিলের অনুমতি না দেন, তাহলে কি গোটা পশ্চিমবঙ্গ অসুরক্ষিত রয়েছে বলে মনে করব?

মামলাকারীদের আইনজীবী জানান, যে কোনও শর্ত মানতে তাঁরা তৈরি। এরপরই শর্তসাপেক্ষে মিছিলের অনুমতি দেয় আদালত।

আদালত জানিয়েছে, স্পেশাল অফিসার মিছিলের আগাগোড়া থাকবেন। যে যে জেলার ওপর দিয়ে মিছিল যাবে, সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়োগ করবেন, যিনি স্পেশাল অফিসারের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের কাজ করবেন।

পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির পুলিশ সুপার, ডিএসপি পদমর্যাদার একজন অফিসার নিয়োগ করবেন। যাঁরা স্পেশাল অফিসারের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করবেন।

মিছিলের কারণে গণ্ডগোল হচ্ছে বলে মনে করলে, তৎক্ষণাত হস্তক্ষেপ করবেন স্পেশাল অফিসার। পুলিশ-প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে মিছিল বন্ধ করে দিতে পারেন তিনি।

বর্ধমান থেকে বীরভূম হয়ে বিজেপির যুব সংগঠনের একটি মিছিল শান্তিপুর আসার কথা ছিল। শুধুমাত্র এই রুটের মিছিলটি বাতিল করেছে হাইকোর্ট।