সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ মামলা পৌঁছল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার, সৌগত ভট্টাচার্যর বেঞ্চে হবে শুনানি।


হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযোগ সত্ত্বেও নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় মামলা করেছেন প্রার্থীরা। ইন্টারভিউ তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ। ১২ সপ্তাহে সেই অভিযোগের নিষ্পত্তি করবে কমিশন। এই সময়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেই মামলা কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীর। চলতি সপ্তাহেই ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা। 


এর আগে গত শুক্রবার উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় রাজ্য সরকারকে স্বস্তি দিয়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে কলকাতা হাইকোর্ট। নিয়োগের ক্ষেত্রে বাধা প্রত্যাহার করা হয়। শুক্রবার চাকরিপ্রার্থীদের দায়ের করা মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে রাজ্যের ভূমিকায় সন্তুষ্ট বলে জানায় হাইকোর্ট। আদালত জানায়, তালিকা প্রকাশের পরে অভিযোগ থাকলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে এসএসসি। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে সচিব পর্যায়ের আধিকারিককে। আবেদনকারীকে ডেকে শুনানি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে।


তারপরেও কোনও অভিযোগ থাকলে দরজা খোলা আছে আদালতের। হাইকোর্ট জানিয়েছে, কোনও অভিযোগ থাকলে ২ সপ্তাহের মধ্যে তা দায়ের করতে হবে। অভিযোগ পাওয়ার ১০ সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ২০১৬ থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারীদের ৫ বছর ছাড়ের পরামর্শ দিয়েছে আদালত। অযোগ্যরা যদি কমিশনের কাছে অভিযোগ করেন, তাহলে জরিমানা করতে পারেন।


এদিকে উচ্চ প্রাথমিকের সদ্য প্রকাশিত তালিকা ঘিরে চাকরি প্রার্থীদের অসন্তোষ অব্যাহত। বিক্ষোভকারীদের দাবি, যোগ্যতার প্রামাণ্য নথি আপলোড করা সত্ত্বেও অনেকের ক্ষেত্রে তা দেখানো হয়নি। অ্যাকাডেমিক স্কোরেও গরমিল রয়েছে বলে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, অভিযোগের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখুক স্কুল সার্ভিস কমিশন। না হলে যোগ্য প্রার্থীদের প্রতি অবিচার করা হবে।