রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাজপুর সোনারপুর পুরসভার বহু এলাকায় ভাসল প্রবল বৃষ্টিতে। জমা জলের জন্য নিকাশীর অব্যবস্থাকে দায়ী করে গড়িয়ার শচীন্দ্রপুরে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে। পুরসভার দাবি, সকালেই বিভিন্ন এলাকায় পাম্প বসিয়ে জল সরানোর কাজ শুরু হয়। 


রাতভোর প্রবল বৃষ্টি ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল নিকাশী ব্যবস্থা কতটা বেহাল। ভাসল দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর সোনারপুর পুরসভার বহু এলাকা। কোথাও জল ঢুকল বাড়িতে। কোথাও বহুতলের নীচে জল থইথই।


কোথাও আবার বাধ্য হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে জমা জলে বিকল হয়ে পড়ে মোটরবাইক, স্কুটার। মৌকা বুঝে অতিরিক্ত ভাড়া হাঁকতে শুরু করেন রিকশা চালকরা। অফিসযাত্রী রিয়া চক্রবর্তী জানাচ্ছেন, জল যন্ত্রণায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা শেষ অবধি রাস্তা অবরোধ করেন।   


স্থানীয় বাসিন্দা কৌশিক চক্রবর্তী জানিয়েছেন, একরাতের বৃষ্টিতেই ডুবে গেল এলাকা।  প্রতি বছরই এই অবস্থা হয়। পুর প্রশসানের কোনও হেলদোল নেই।  ১৫-২০ বছর ধরে এই ভোগান্তি ভুগতে হচ্ছে।


অভিযোগ, স্থানীয় কাউন্সিলরকে বারবার বলেও, কাজ হয়নি। অনেকেই বলছেন, সবার ঘরে জল ঢুকে গেছে। বাচ্চা নিয়ে থাকতে খুব অসুবিধা হচ্ছে। কাউন্সিলরকে জানিয়ে কোনও কাজ হয়নি। রাজপুর সোনারপুর পুরসভার বক্তব্য, এদিন সকালেই মহামায়াতলা, গড়িয়া, গ্রিনপার্ক এই সব এলাকায় পাম্প বসিয়ে জল সরানোর কাজ শুরু হয়।  


রাজপুর সোনারপুর পুরসভা পুর প্রশাসক পল্লব দাস জানিয়েছেন, বর্ষার প্রথম বৃষ্টিতেই এই হাল হলে, পরে কী হবে? ভেবে কুল পাচ্ছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা।  আগামী শনিবার পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন অংশে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করল আবহাওয়া দফতর। বৃহস্পতিবার দুপুরে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন অংশে বজ্রবিদ্যুত্‍-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে কয়েকটি জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। 


আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণাবর্তের পরিস্থিতি রয়েছে। মেঘলা আবহাওয়ায় যোগ হচ্ছে প্রচুর জলীয় বাষ্প। এর জেরেই এমন ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা, আগামী ২ দিন নীচু এলাকায় জল জমার আশঙ্কা রয়েছে। বাড়বে নদীর জলস্তর। জল জমায় শহরের বিভিন্ন জায়গায় দেখা দিতে পারে ট্রাফিক জ্যাম। এই পরিস্থিতিতে মানুষজনকে ঘরের মধ্যে থাকতে পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।