উদয়নারায়ণপুর: ডিভিসি-র ছাড়া জলে প্লাবিত হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের বেশ কিছু এলাকা। যার জেরে দেখা দিয়েছে বন্যার আশঙ্কা।
দামোদরের বাঁধ উপছে ভোররাত থেকে জল ঢুকতে শুরু করেছে হরিহরপুর, মুচিপাড়া-সহ একাধিক গ্রামে। তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন।
এর পাশাপাশি, আমতায় রূপনারায়ণ ও মুণ্ডেশ্বরীর জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে কুলিয়াঘাটের বাঁশের সেতু। ফলে আমতার সঙ্গে বিচ্ছিন্ন ভাটোরা দ্বীপ। উদয়নারায়ণপুরে বন্যার আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় গতকাল বৈঠকে বসে জেলা প্রশাসন।
গত তিনদিন ধরে যে হারে ডিভিসি থেকে জল ছাড়া হচ্ছিল, তাতে হুগলি ও হাওড়ায় নিম্ন দামোদর অববাহিকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা আগেই করেছিল সেচ দফতর।
ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টি হওয়ায় মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হয়। মাইথন থেকে ২৪ হাজার ও পাঞ্চেত থেকে ১৪ হাজার, দুটি জলাধার থেকে মোট ৩৮ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। শুক্রবার মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে ২২ হাজার ৫০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়।
শনিবার নতুন করে ওই দুটি জলাধার থেকে জল ছাড়েনি ডিভিসি। সেই কারণে দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকেও কমানো হয় জল ছাড়ার মাত্রা। গতকাল পরিদর্শনে যান সেচ দফতরের আধিকারিকরা।
অন্যদিকে, বৃষ্টি না বাড়ায় আজ দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কমানো হয়েছে। আজ সকালে তা কমে ৪৭ হাজার ৬৫০ কিউসেক হয়েছে। গতকাল সারাদিনে জল ছাড়ার পরিমাণ ছিল ৫০ হাজার কিউসেক। তার আগের দিন সর্বোচ্চ ৭০ হাজার ৯০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়।
বর্ষার শুরুতেই জলযন্ত্রণা হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায়। জল থইথই রাস্তাঘাট, জল ঢুকেছে বাড়ি-দোকানপাটে। টিকিয়াপাড়া থেকে রামরাজাতলা, সালকিয়া, সাঁতরাগাছি কোথাও জল কোমর ছুঁইছুঁই, কোথাও জল হাঁটু ছাড়িয়েছে।
টানা চার-পাঁচদিন ধরে এই দুর্ভোগের শিকার হয়ে, ক্ষোভে ফুঁসছেন বাসিন্দারা। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভা নিকাশি নালা ঠিকমতো পরিষ্কার না-করায় জলযন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে।