কলকাতা: মাধ্যমিক শেষ, মঙ্গলবার শুরু উচ্চমাধ্যমিক। ময়নাগুড়িকাণ্ডের জেরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করার পাশাপাশি, প্রশ্নপত্র নিয়ে চূড়ান্ত সতর্কতা নিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
দেড়শোটি স্পর্শকাতর পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়োগ করা হয়েছে বিশেষ পর্যবেক্ষক। প্রশ্নপত্র কোথা থেকে কোথায় পাঠানো হচ্ছে, পুরো প্রক্রিয়ার ওপর নজর রাখবেন তিনি। পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রতিটি হলে থাকবেন ৩ জন পরিদর্শক। যাঁদের মধ্যে একজনের কাজই হবে মোবাইল ফোনে নজরদারি করা। ভ্যেনু সুপারভাইজার বা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছাড়া কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।
শুধু তাই নয়, এবারই প্রথম প্রধান শিক্ষকদের জন্য পরীক্ষার সুরক্ষা সংক্রান্ত ফর্ম পাঠানো হচ্ছে সংসদ থেকে। কোনও শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী অনিয়ম করলে বা পরীক্ষার মধ্যে কোনও অঘটন ঘটলে নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে সংসদে পাঠাবেন প্রধান শিক্ষক।
প্রশ্নপত্র বিতরণের ক্ষেত্রেও আলাদা ফর্ম পাঠাচ্ছে সংসদ। ফর্মে লিপিবদ্ধ করতে হবে, কে, কখন, প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুললেন? কোন শিক্ষক, ক’টি প্রশ্নপত্র নিয়ে হলে গেলেন? থাকছে নির্দিষ্ট ‘আর এ’ ফর্ম্যাটও। ৫টি নির্দিষ্ট কারণ-- পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে, টোকাটুকি বা শিক্ষক-শিক্ষিকাকে নিগ্রহ করলে, পরীক্ষাকেন্দ্র ভাঙচুর বা খাতা নিয়ে বাড়ি নিয়ে চলে গেলে-- অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ওই ফর্ম পূরণ করে পাঠাতে হবে।
এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮ লক্ষ ২৬ হাজার ২৯। গত বছরের থেকে পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৫৩ হাজার। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা ৫৭ হাজার ৫৩৪ জন বেশি। এবার প্রথম উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্ন হচ্ছে হিন্দিতেও। উচ্চমাধ্যমিকের সঙ্গে একই দিনে শুরু হচ্ছে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে একাদশের বার্ষিক পরীক্ষা।