ইছাপুর:  স্ত্রীর চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে না পেরে প্রৌঢ়ের আত্মহত্যার অভিযোগ। উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুরের বাড়িতে মিলল ঝুলন্ত দেহ। একাকিত্ব আর মানসিক অবসাদ!


বেহালার পর্ণশ্রীতে রোগগ্রস্ত স্ত্রী-কে খুন করে ৭৬ বছরের রথীন্দ্রনাথ রায় আত্মঘাতী হয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।

ইছাপুরে রোগগ্রস্ত স্ত্রী-র চিকিৎসার খরচ জোগাড় করতে না পেরে নিজের জীবন শেষ করে দিলেন প্রৌঢ়! মৃতের নাম বরুণ চট্টোপাধ্যায়

বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুরের মায়াপল্লিতে। কাজ করতেন বেসরকারি সংস্থায়। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর,  বরুণের স্ত্রী রমা চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন স্নায়ুর রোগে ভুগছেন। চিকিৎসার খরচ অনেক। তাই ষাট পেরিয়েও চাকরি করতে যেতেন বরুণ চট্টোপাধ্যায়। নিঃসন্তান বলে মনে কষ্ট তো ছিলই। একমাত্র সঙ্গী স্ত্রী জটিল ব্যাধিতে শয্যাশায়ী হওয়ার পর মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন বরুণ।

ইছাপুরের মায়াপল্লির এক দোতলা বাড়িতে থাকতেন বরুণ চট্টোপাধ্যায়। নীচের তলায় থাকেন তাঁর ভাই। তাঁদের দাবি,  শনিবার বেলা গড়িয়ে যাওয়ার পরও দাদা ঘর থেকে না বেরোনোয় সন্দেহ হয়। ভেঙে ফেলা হয় ঘরের দরজা। উদ্ধার হয় প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেহালার রথীন্দ্রনাথ রায়ের মতো ইছাপুরের বরুণ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও কাজ করেছে তীব্র মানসিক অবসাদ। কিন্তু কেন এই অবসাদ? পরিবারের দাবি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।