দার্জিলিং: পাহাড়ে ক্রমেই আন্দোলন তীব্র করছে মোর্চা। আজ দার্জিলিঙের জেলাশাসকের দফতর ঘেরাও করে তারা। দাবিপূরণ না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি।

পাহাড়ে অচলাবস্থা অব্যাহত। সোমবার তারই আঁচ গিয়ে পড়ল বিধানসভায়। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিধায়কদের সঙ্গে তরজায় জড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল। তিনি বলেন,

পাহাড়ে আগুন জ্বালিয়ে এখানে ভোট দিতে এসেছেন।

যে পাহাড়কে ঘিরে এত কিছু সেখানে কিন্তু অশান্তি থামার কোনও লক্ষণ নেই! আজও মিরিকে একটি ট্রাফিক আউটপোস্টে আগুন লাগানো হয়েছে।

রবিবার রাতে বিজনবাড়িতে বিদ্যুৎ দফতরের পরিত্যক্ত অফিসে আগুন লাগায় দুষ্কৃতীরা।

দুটি ক্ষেত্রেই তাদের দিকে আঙুল উঠলেও, অভিযোগ অস্বীকার করেছে মোর্চা। এদিন দার্জিলিঙে জেলাশাসকদের দফতর ঘেরাও করে তারা। মিছিল হয় চকবাজারে। এরপরই জেলাশাসকের দফতরের বাইরে গিয়ে বসে পড়েন মোর্চা কর্মী ও সমর্থকরা। বিক্ষোভ চলাকালীন বাইরে বেরিয়ে আসেন জেলাশাসক। মোর্চার অভিযোগ, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তিনি কথা বলতে চাননি। ইন্টারনেট পরিষেবা চালু, বাহিনী প্রত্যাহার-সহ একাধিক দাবিতে এদিন সরব হয় মোর্চা।

আজ ছিল বিমল গুরুঙের জন্মদিন। কিন্তু পাতলেবাসের বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা যায়নি মোর্চা সভাপতিকে। তাঁর দলের তরফে জানানো হয়েছে, ২০ তারিখের পর বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবে পাহাড়ে। এই পরিস্থিতিতে পরবর্তী রণকৌশল নির্ধারনে মঙ্গলবার কালিম্পংয়ে সমন্বয় কমিটি বৈঠকে বসছে।