হুগলি: মারা গেলেন তারকেশ্বরে অ্যাসিড হামলার শিকার মহিলা। ২৪ জুলাইয়ের অ্যাসিড হামলায় তাঁর দুই ছেলেও জখম হয়। ধৃত অভিযুক্তর শাস্তি চেয়ে সরব পরিবার। মৃত মহিলার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস পুলিশের।


পুড়ে গিয়েছিল শরীরের ৮৫ শতাংশই। তবু চালিয়ে যাচ্ছিলেন বাঁচার লড়াই। কিন্তু ১৩ দিনের মাথায় থেমে গেল সেই যুদ্ধ। জীবনযুদ্ধে হেরে গেলেন অ্যাসিড আক্রান্ত হুগলির এই মহিলা।

২৪ জুলাই রাতে ঠিক কী ঘটেছিল তারকেশ্বরের পিয়াশালা গ্রামে? কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় মহিলাকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছোঁড়া হয়। মহিলার পাশাপাশি তাঁর মেজ ও ছোট ছেলেও অ্যাসিড হামলায় সেদিন জখম হন।

মহিলাকে প্রথমে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৮ জুলাই ছুটি হয়ে যাওয়ায়, তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যান পরিজনরা। কিন্তু আচমকাই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ৩০ জুলাই তাঁকে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি করেন আত্মীয়রা।

শরীরের সিংহভাগই অ্যাসিডে ঝলসে গিয়েছিল। তবুও পরিবারের জন্য বাঁচতে চেয়েছিলেন মহিলা। কিন্তু তাঁর সেই চাওয়া আর পূরণ হল না। রবিবার সকালে থেমে গেল দাঁতে দাঁত চেপে চালিয়ে যাওয়া কঠিন লড়াই।

সাত মাস আগে স্বামী মারা গিয়েছেন। তিন ছেলে ও ছোট্ট মেয়ের কথা ভেবে দিনমজুরি করছিলেন মহিলা। এভাবেই চলছিল। তারমধ্যেই আঘাতটা আসে ২৪ জুলাই রাতে! তাও সন্তানরা ভেবেছিল, আঘাত গুরুতর হলেও মা একদিন ঠিকই সুস্থ হয়ে উঠবে। কিন্তু সেটা আর হল না।

অ্যাসিড হামলায় জখম হয়ে, মৃতের মেজ ছেলে কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সে দিনের ঘটনার পরপরই মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরিবার এখন চায়, দ্রুত ধরা পড়ুক বাকিরা। দোষীদের কঠিন শাস্তি হোক।