হুগলি:  জেলায় জেলায় ছড়াচ্ছে ‘নীল তিমি’র জাল! এবার ব্লু হোয়েলের থাবা হুগলিতে। ‘নীল তিমি’র ফাঁদে শ্রীরামপুরের মাহেশের সরকারি স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।
এলোমেলো আচরণ, ক্লাসে ঘুমিয়ে পড়া, হাত কেটে খোদাই করা নীল তিমির আদল! হুগলির রিষড়ার সরকারি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রের হাল দেখে জোরাল সন্দেহ হয়েছিল ক্লাস টিচারের। দেরি না করে বিষয়টি প্রধান শিক্ষককে জানিয়েছিলেন তিনি।
ছাত্রটিকে ডেকে পাঠান প্রধান শিক্ষক। সূত্রের দাবি, তাঁর সামনে ছাত্রটি স্বীকার করে, এতদিন ধরে ব্লু-হোয়েল গেম খেলছিল সে। পৌঁছে গিয়েছিল ১১ নম্বর লেভেল পর্যন্ত! প্রধানশিক্ষক সুমন চক্রবর্তী বলেন, সবার মা-বাবাকে ডাকব, কাউনেস্লিংয়ের ব্যবস্থা করব।
কীভাবে ব্লু-হোয়েলের ফাঁদে পড়ল ওই ছাত্র? ছাত্রটি জানায়, ইন্টারনেটে লিঙ্ক আসে, ক্লিক করতেই মোবাইল গেম ডাউনলোড হয়ে যায়। থ্রেট মেসেজ আসত। না খেললে সব ডেটা ফাঁস হয়ে যাবে।
সামনে মাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই ফুটবল-পাগল ছেলের মাঠে যাওয়া বন্ধ করে দেন বাবা। তাতেই কি ঘনিয়ে আসে বিপদ? ছাত্রের বাবা বলেন, ফুটবল খেলতে বারণ করেছিলাম, ও ঈদানীং মোবাইলে ব্যস্ত থাকত।
বৃহস্পতিবার বারাসতে ‘নীল তিমি’র মারণ থাবা থেকে উদ্ধার করা হয় নবম শ্রেণির ২ ছাত্রীকে! দু’জনেরই কাউন্সেলিং করিয়েছে পুলিশ।
এর কয়েকঘণ্টার মধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদাতেও অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রের হাতে কাটা দাগ দেখে ব্লু-হোয়েল আতঙ্ক ছড়িয়েছে! ওই ছাত্রেরও কাউন্সেলিং শুরু হয়েছে।
এবার আতঙ্ক হুগলির রিষড়ায়! পড়ুয়াদের মধ্যে ব্লু-হোয়েলের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগে হুগলি জেলা প্রশাসন। পড়ুয়াদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পুলিশের তরফে স্কুলে স্কুলে শুরু হয়েছে কর্মশালা।