সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মোহন দাস, খানাকুল: হুগলির খানাকুলের পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। জলের তলায় প্রায় ৬৫টি গ্রাম। নতুন করে জল বাড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন গ্রামবাসীরা। 


তারমধ্যেই উঠেছে ত্রাণ না মেলার অভিযোগ। তবে প্রশাসনের দাবি, দুর্গতদের সবরকম সাহায্যই করা হচ্ছে। আজ এলাকা পরিদর্শন করেন শ্রমমন্ত্রী।


যেদিকে চোখ যায়, সেদিকে শুধুই জল আর জল। চাষের জমি, রাস্তাঘাট, দোকানপাট থেকে বাড়ি ঘর---সবই জলমগ্ন।


চারদিন ধরে অসহনীয় অবস্থা। বিদ্যুৎহীন এলাকা। ফলে চরম দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন বানভাসী মানুষ। জলের তলায় হুগলির খানাকুলের প্রায় ৬৫টি গ্রাম।


পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার বদলে, নতুন করে জল ঢুকেছে আরও বেশ কিছু গ্রামে। আরামবাগ-গড়েরঘাট রাস্তার আরও বেশকিছু জায়গা জলের তলায় চলে যাওয়ায় খানাকুল যেতে সমস্যা দেখা দিয়েছে।


চারিদিকে জল থইথই। অথচ নেই পানীয় জল। কোনও কোনও এলাকায় সম্পূর্ণ ডুবে গিয়েছে একতলা বাড়ি। ফলে ছাদ হারিয়ে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন রাস্তায়। ত্রিপল খাঁটিয়ে চলছে বসবাস।


এরইমধ্যে আজ দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ১ লক্ষ ৯০০ কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে।  মাইথন ও পাঞ্চেত‍ থেকে গতকাল ছাড়া হয়েছিল ১ লক্ষ কিউসেক জল। আজ জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়ে ৫০ হাজার কিউসেক করা হয়েছে। 


প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়া অনেকেই আবার ত্রাণ না মেলার অভিযোগ করেছেন। যদিও প্রশাসনের তরফে পাল্টা দাবি করা হয়েছে, সবাইকেই সাহায্য করা হচ্ছে।


তৃণমূল নেতা তথা হুগলি জেলা পরিষদ সদস্য মুন্সি নজবুল করিম বলেন, আমরা উদ্ধার করছি, কিছু মানুষ অভিযোগ করছেন তাঁরা হয়তো আমাদের কাছে আসতে পারছেন না, ত্রাণ পর্যাপ্ত পরিমাণে দেওয়া হচ্ছে। 


এদিন খানাকুলের রাজহাটি এলাকা পরিদর্শন করেন শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না। বানভাসীদের হাতে তুলে দেন ত্রাণসামগ্রী। এদিকে, আরুন্দা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বিভিন্ন গ্রামে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যায় স্থানীয় পঞ্চায়েত।


হুগলি জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, দুর্গত এলাকায় ৮০টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। সেখানে কয়েক হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।