খানাকুল : ভাসছে চারিপাশ। রূপনারায়ণ ও দ্বারকেশ্বরের জলে প্লাবিত খানাকুলের একাধিক গ্রাম। উদ্ধারকাজে নামল বায়ুসেনা। জলের স্রোত এতটাই বেশি যে ঢুকতে পারল না স্পিড বোট। এরপর বায়ুসেনার হেলিকপ্টার করে শতাধিক গ্রামবাসীকে উদ্ধার করা হয়। এর পাশাপাশি, গতকাল থেকেই খানাকুলের বন্দিপুরে দ্বারকেশ্বর ও ঘোড়াদহে রূপনারায়ণের বাঁধ ভেঙে হু-হু করে জল ঢুকতে শুরু করেছে। বেশ কয়েকটি এলাকা বিচ্ছিন্ন। রাস্তার ওপর দিয়ে বইছে জল। দ্বারকেশ্বরের বাঁধ ভেঙে প্লাবিত জাঙ্গিপাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকাও। ভয়বহ পরিস্থিতি এলাকায়। 

অন্যদিকে, শিলাবতীর জলে প্লাবিত ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা। চন্দ্রকোণার মনসাতলা চাতাল এলাকায়, রাস্তা পেরোতে গিয়ে জলের তোড়ে ভেসে যান এক ব্যক্তি। জল থৈথৈ মহকুমা শাসকের অফিস। জল ঢুকেছে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালেও।যেদিকে চোখ যায়, শুধু জল আর জল। মাঠ-ঘাট-রাস্তা সব জলের তলায়। উত্তাল কংসাবতী, দু’কুল ছাপিয়ে বইছে শিলাবতী। তার জেরে জলবন্দি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, দাসপুর, চন্দ্রকোণা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা।


কোথাও রাস্তা দিয়ে বইছে নদীর মতো জলের স্রোত... কোথাও প্রায় ২ মানুষ সমান জল। চন্দ্রকোণার মনসাতলা চাতাল এলাকায় রাস্তা পেরোতে গিয়ে জলের তোড়ে ভেসে যান ৩৮ বছরের এক ব্যক্তি। ঘাটাল, দাসপুর এলাকার বেশিরভাগ বাড়ির এককলা জলমগ্ন। বিঘার পর বিঘা চাষের জমি জলের তলায়। জমিতেই নষ্ট ফসল। কেউ কেউ আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু বাড়ির ছাদে।  রবিবার সকাল থেকে শিলাবতী নদীর পাড়ে মহকুমা শাসকের অফিসের পাঁচিল ভেঙে হু হু করে ঢুকতে থাকে শিলাবতী নদীর জল। 
কোথাও কোথাও এক মানুষ সমান জল। পথ বলে কিছু নেই, সব জলের তলায়। ভরসা নৌকা কিংবা ডোঙা! চন্দ্রকোণা-ঘাটাল রাজ্য সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এলাকার একের পর এক স্কুল, সরকারি দফতরে জল ঢুকে যায়। 
জলমগ্ন হয়ে পডড়ে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল। অন্যদিকে, জল ঢুকে যায় ঘাটাল সংশোধনাগারে। ৬১ জন বন্দিকে মেদিনীপুর সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘাটাল-দাসপুরের বেশ রয়েকটি জায়গায় শিলাবতীর বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। প্রশাসনের তরফে ত্রাণ শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।   


ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে তরজা চলছে বছরের পর বছর। কিন্তু এই জলযন্ত্রণার স্থায়ী সমাধান আর কবে হবে? প্রশ্ন উঠছেই।